হুমকিতে পড়লে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়া হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুঁশিয়ারি ইরানের

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছেন ইরানি রেভলিউশনারি গার্ডের এক কর্মকর্তা। ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে জবাব দেওয়া হতে পারে।
ইরানি রেভলিউশনারি গার্ডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এর এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে এক নির্বাহী আদেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ওই নিষেধাজ্ঞায় ১২টি কোম্পানি এবং ইরান ও চীনের ১৩ জন ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে মার্কিন অর্থ বিভাগ। নিষেধাজ্ঞার এই তালিকায় রয়েছে ইরানের রিপাবলিক গার্ডের সদস্যরাও। নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে লেবানন ও চীনের সঙ্গে ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে। শনিবার

সেমনান প্রদেশে রেভলিউশনারি গার্ডের সামরিক মহড়া চলাকালে ব্রিগেডিয়ার হাজিজদেহ বলেন, আমরা দেশের নিরাপত্তার জন্য দিন রাত কাজ করছি। শত্রুপক্ষের সামান্যতম ভুল পদক্ষেপ দেখলেই তাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাবে ইরান।

ইরানের পদস্থ সেনা কর্মকর্তা আহমাদ রেজা পোরদাস্তান যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অথবা অন্য কোনো শত্রুকে জবাব দেওয়ার মতো সামরিক প্রতিরক্ষা ও হামলা চালানোর ক্ষমতা রয়েছে ইরানের। তেহরানের ওপর ট্রাম্পের নতুন নিষেধাজ্ঞার পরদিনই ইরান নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার ব্যবস্থার সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। ইরানের মাঝারি পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। যা ইসরায়েল বা উপসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন ঘাঁটিকে আক্রমণের লক্ষ্য করতে পারে।

এদিকে, জেমস ম্যাটিস জাপানের রাজধানী টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইরান টিকে আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই দেশটি হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক। তবে ইরানের এই কর্মকাণ্ডের জবাবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান তিনি। ম্যাটিস বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার মতো ইরানকে উপেক্ষা করে ট্রাম্প প্রশাসনের চলবে না, ইরানকে উপেক্ষা করা ঠিকও হবে না। ইরানের ওপর আরোপ করা নতুন নিষেধাজ্ঞার পর মার্কিন অর্থ বিভাগের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত প্রধান জন স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, সন্ত্রাসের প্রতি ইরানের ক্রমাগত সমর্থন এবং ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়ন ওই অঞ্চলে ও বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের প্রতি হুমকি তৈরি করেছে।



মন্তব্য চালু নেই