হার্টে মেয়াদোত্তীর্ণ রিং প্রতিস্থাপনে নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ দেশের সকল হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসায় (হৃদরোগ) রোগীর দেহে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে মেয়াদোত্তীর্ণ রিং লাগানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্টে।

একই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ রিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও রিং গ্রহণ এবং রোগীদের দেহে তা প্রতিস্থাপনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ রিং পরানোর অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক একটি প্রতিবেদন আদালতে ১ মাসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ‘মেয়াদোত্তীর্ণ রিং পরিয়ে হৃদরোগ চিকিৎসার ভয়াবহ তথ্য’ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এই সংবাদটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জায়দী হাসান।

ওই টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদককে প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে তা আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।এ বিষয়ে আগামী ১ মার্চ পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে গত সাত মাসে বেশ কিছু রোগীর দেহে এই মেয়াদোত্তীর্ণ রিং পরানোর খবর পাওয়া গেছে।’



মন্তব্য চালু নেই