হাজীদের সাথে প্রতারনা করছে এজেন্সীগুলো

প্রবিত্র ওমরাহ পালন করতে গিয়ে এজেন্সীগুলোর দ্বারা প্রতারনার শিকার হচ্ছেন হাজীরা। এজেন্সীগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতারনার অভযোগ করেছেন হাজীরা। পুরো অর্থ দেয়ার পরও এজেন্সীগুলো হাজীদের কাছে আরো অর্থ দাবী করছে বলে জানিয়েছেন হাজীরা। তবে এসব অস্বীকার করেছে এজেন্সীগুলেো। জ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) জানায়, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, সরকারি নিয়মেই ওমরাহ পালনে যাত্রীদের পাঠাচ্ছে এজেন্সিগুলো। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথাও অস্বীকার করে হাব।

রাজধানীর বিজয়নগর, উত্তরা ও মতিঝিল এলাকার কয়েকটি হজ ও ট্রাভেল এজেন্সির সামনে কথা হয় ওমরাহ পালনেচ্ছুক কয়েকজন যাত্রী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে। তারা জানান, কিভাবে অর্থ জিম্মি করে আদায় করা হচ্ছে আরও অর্থ। জানা যায়, কুমিল্লার দেবিদ্বারের আবুল হাসনাত স্থানীয় একজনের মাধ্যমে তার মামা জহিরুল ইসলাম একটি রিক্রুটিং এজেন্সিকে ওমরাহের ভিসার জন্য এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা জমা দেন। কিন্তু রমজানের শুরুর দিকে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ আরও এক লাখ টাকা দাবি করে জানায় সৌদি সরকার বর্ধিত টাকা না হলে ভিসা দিচ্ছে না। এরপর বাধ্য হয়ে আরও এক লাখ টাকা বেশি দিয়ে জহিরুল ইসলাম ওমরাহের ভিসা যোগাড় করেন। তবে আবুল হাসনাত এই এজেন্সির নাম বলতে রাজি হননি।

প্রথমবারের মতো ওমরাহ পালনকারীরা খানকিটা এজেন্সির হাতে বন্দি বলেও অভিযোগ করেন অনেকে। কারণ, সেখানে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া ও থাকার ব্যবস্থার জন্য এজেন্সির ওপরেই নির্ভর করে। এজেন্সিগুলোও প্রতিশ্রুত মানের বাড়িতে না রেখে নিম্নমানের বাড়ি ভাড়া করে হজ যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করে।



মন্তব্য চালু নেই