হত্যার পর মা-বাবাকে রান্না করে খেলো ছেলে
শুকর কাটার ছুরি, সবজি কাটার ছুরি, হাতুড়ি, ব্লিচিং পাউডার, রাইস কুকার ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন- তালিকার এসব জিনিস দেখে মনে হচ্ছে কোন উৎসবের জন্য হয়তো শুকর জবাই করা হবে। আসলে বিষয়টি তা নয়। এগুলি দিয়ে হংকংয়ের বাসিন্দা হেনরি চাও নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তার বাবা-মাকে। হত্যার পর চাও তাদেরজে জবাই করে তাদের গোশত রান্না করেও খেয়েছে! এ ঘটনায় সম্প্রতি আদালত চাওকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
২০১৩ সালের এপ্রিলে ৩১ বছরের হেনরি চাও মা-বাবাকে হত্যার জন্য ছুরিসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র কেনার একটি তালিকা করে। মা-বাবাকে হত্যা করতে সে তার বন্ধু তেসি চুন কি’র সাহায্য নেয়। চাও প্রথমে তার মা-বাবাকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে তাদের দেহ টুকরা টুকরা করে বাড়ির দুটি ফ্রিজে রেখে দেয়। এর মধ্যে সেখান থেকে বেশ কিছু অংশ রান্না করেও খায় সে। পরে পুলিশকে জানায় তার বৃদ্ধ মা-বাবার কোন খোঁজ পাচ্ছে না। তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ চাওয়ের রক্তমাখা ফ্ল্যাটে এসে উপস্থিত হয়। পরে ফ্রিজ থেকে মা-বাবার বিচ্ছিন্ন মাথাসহ তাদের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। তবে এর আগে দেহের বেশ কিছু অংশ বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় চাও। পরে পুলিশ চাও এবং তার বন্ধু তেসি চুনকে আটক করে।
সম্প্রতি আদালত মা-বাবাকে হত্যার দায়ে চাওকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। রায়ে আদালত জানায়, পুলিশের তদন্ত চলাকালে চাও তার বন্ধুদের কাছে মা-বাবাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছিল। এমনকি এক স্বজনের কাছে হত্যাকাণ্ডের খুঁটিনাটি বর্ণনা দিয়েছিল সে। তাদেরকে চাও জানিয়েছে, সে সিরিয়াল কিলার হতে ইচ্ছুক। এ কারণে সে এ কাজ করেছে।
আদালত অবশ্য হত্যার দায় থেকে চাওয়ের বন্ধু তেসি চুনকে মুক্তি দিয়েছে। তবে তাকে মৃতদেহ দাফনে আইনি বাঁধা দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই