ব্যাচেলর সমস্যা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভাড়াটিয়া পরিষদের স্মারকলিপি

ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়াসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ভাড়াটিয়া পরিষদ।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে সংগঠনের পক্ষে সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহারের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ স্মারক লিপি দেয়।

গুলশানে জঙ্গি হামলা ও কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্থানা খুঁজে পাওয়াসহ রাজধানীর বিভিন্ন মেসে পুলিশের তল্লাশির কারণে বাসা-মালিকরা ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দেওয়ার ভরসা পাচ্ছেন না। এ কারণে ব্যাচেলরদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, রাজধানীতে বহু এমপি, মন্ত্রী, আমলা, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের শিক্ষাজীবন ও চাকরিতে প্রবেশকালে ব্যাচেলর হিসেবে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এখনো বহু মানুষের শেষ ভরসা ব্যাচেলর বাসা। অথচ গুটিকয়েক জঙ্গির কারণে আজ ব্যাচেলররা বাসা পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সমাবেশে সেবা সংগঠন আলোর মিছিলের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল নেই। যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আছে তাও অতি সামান্য। ফলে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়ে মেসে থাকতে হয়। অন্যদিকে, বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষের পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকা সম্ভব হয় না।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সমাবেশে মো. বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করুন। কিন্তু অযথা নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করবেন না। ব্যাচেলরদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসুন।

স্মারকলিপিতে ভাড়াটিয়া পরিষদের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- ব্যাচেলর ভাড়াটিয়াদের আবাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সরকারিভাবে ব্যাচেলরদের আবাসনের সুব্যবস্থা করা।ব্যাচেলরদের হয়রানি ও বাড়িওয়ালাদের অনৈতিক নির্যাতন, উচ্ছেদ বন্ধ করা এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জান্নাত ফাতেমা, সহসাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা, আলোর মিছিলের সহসভাপিত হাফেজ মো. বজলুর রহমান ফরাজী।



মন্তব্য চালু নেই