‘স্কটল্যান্ডের গণভোটে কারচুপি’
স্কটল্যান্ডের গণভোটে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন রাশিয়ার এক পর্যবেক্ষক। ইগোর বরিসভ নামের ওই পর্যবেক্ষক দাবি করেন, যে প্রক্রিয়ায় দেশটিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে তা আন্তর্জাতিক নীতিমালার শর্ত পূরণ করে না। তিনি আরো দাবি করেন, যে কক্ষে ভোট গণনা করা হয়েছিল তা অনেক বেশি বড় ছিল। তাছাড়া সবগুলো ব্যালট বাক্স ঠিক মতো দেখা হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার স্বাধীন স্কটল্যান্ডের ব্যাপারে দেশটিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার ভোটের ফলাফলে বলা হয়, দেশটির ৫৫ শতাংশ মানুষ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে থাকার পক্ষে এবং অপর ৪৫ শতাংশ স্বাধীন স্কটল্যান্ডের পক্ষে মত দিয়েছেন। ওই গণভোটের সময় চার রুশ পর্যবেক্ষক স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ভোট কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
বরিসভ জানান, যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের বিধিমালা অনুসরণ করে স্কটল্যান্ডের গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে যা আন্তর্জাতিক নিয়মের পুরোটা অনুসরণ করে না। তিনি আরো জানান, যে নিয়মগুলো না মানার কারণে রাশিয়ার সমালোচনা করা হয়, সেই একই নিয়ম এখানেও মানা হয়নি।
ভোট গণনার জন্য ব্যবহৃত ১০০ মিটার চওড়া ও ৩০০ মিটার লম্বা কক্ষগুলোকে তিনি বিমান ছাউনির সঙ্গে তুলনা করেন। তার মতে, এই বৃহদাকৃতির কারণে পর্যবেক্ষকদের পক্ষে ভোট গণনা কার্যক্রম ভালোভাবে দেখা সম্ভব হয়নি।
ভোট বাক্সের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই ব্যালট বাক্সগুলো ফেলে রাখা হয়েছিল। তাছাড়া গণনার আগেও বাক্সগুলো পরীক্ষা করা হয়নি। এর ফলে ভোট জালিয়াতি করলেও তা ধরার কোনো উপায় ছিল না।’
ওই পর্যবেক্ষকের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা ছাড়াও রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতেও হাজার হাজার মানুষ স্কটল্যান্ডের গণভোটের ফলাফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ২০১১ সালের নির্বাচনে ভ্লাদিমির পুতিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়ার জয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
মন্তব্য চালু নেই