সৌদি সংস্থা থেকে নিয়মিত অর্থ নেন জাকির নায়েক

রাজধানী ঢাকার গুলশানে হামলাকারীদের দুজন উদ্বুদ্ধ হওয়ার অভিযোগ ওঠার পর বেকায়দায় আছেন ভারতের ধর্মবিষয়ক বক্তা জাকির নায়েক। গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলায় জড়িত অন্তত দুজন তাঁর অনুসারী ছিল এই খবরে তাঁর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে অভিযোগ গঠন করেছে ভারত। আর বাংলাদেশে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক জাকির নায়েকের মালিকানাধীন চ্যানেল পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

ভারতে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর তাঁর মুম্বাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের টাকার জোগান খতিয়ে দেখছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত বিভাগ। ভারতের ইকোনমিক অফেন্স উইংস নামে বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে জানা গেছে, সৌদি আরবের তিনটি সংস্থা থেকে নিয়মিত অর্থ পেতেন জাকির। কেন এই অর্থ দেওয়া হতো, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে তদন্ত কমিটির প্রধান নীতিন গোরখেল।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে নথিভুক্ত হলেও, ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন ১০টিরও বেশি সংস্থার সঙ্গে ব্যবসা চালাত। বক্তৃতার ভিডিওতে সে কথা ফলাও করে ঘোষণাও করেছেন নায়েক।

এদিকে মুম্বাই পুলিশ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত দল জানিয়েছে, ধর্ম প্রচার এবং বক্তৃতার সূত্রেই প্রায়ই বিদেশ যেতেন জাকির। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দূতাবাসের সঙ্গে ‘হট কানেকশন’ ছিল তাঁর। তিনি সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার জন্য ভিসার ব্যবস্থা করে দিতেন।

এ ছাড়া তদন্তের কাজে মুম্বাই পুলিশ ডোংরি এলাকায় অবস্থিত জাকির নায়েকের বাবা ডা. আবদুল করিম নায়েকের ক্লিনিকেও গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি সুপার (ডিএসপি) অশোক দুদে আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমকে জানান, ডা. আবদুল করিমের ক্লিনিকে অর্থের বিনিময়ে পাসপোর্টের জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট পাওয়া যেত। আর তা দিয়ে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য ভিসা পেতে প্রভাব খাটাতেন জাকির নায়েক। এ ছাড়া তিনি দুবাইতে বেশ কয়েকজনকে ধনী ব্যক্তিকে বাড়ি কিনতে সাহায্য করেছেন বলেও জানা গেছে।

তবে এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলে বরাবরের মতোই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাকির নায়েক।



মন্তব্য চালু নেই