সৌদির নতুন বাদশা সালমানের প্রোফাইল
বাদশা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ ইন্তেকাল করার পর সৌদি আরবের নতুন বাদশা হিসেবে শুক্রবার শপথ নিয়েছেন সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সউদ। নতুন বাদশার পুরো নাম সালমান বিন আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহমান বিন ফয়সাল বিন তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ বিন সউদ। ১৯৩৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানী রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান বয়স ৭৯।
সালমান সউদ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ইবনে সৌদের ২৫তম বংশধর। তার মায়ের নাম হাসসা আল সউদিরি। রিয়াদে মুরাব্বা রাজপ্রাসাদে তিনি বড় হন। ইবনে সউদ তার সন্তানদের শিক্ষার জন্য রিয়াদে যে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই প্রিন্স স্কুলেই লেখাপড়া করেন সালমান। এ ছাড়া ধর্ম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন।
সালমানকে ১৯৫৪ সালের ১৭ মার্চ নিজের প্রতিনিধি ও রিয়াদ প্রদেশের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন বাদশা আব্দুল আজিজ। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। দীর্ঘ ৪৮ বছর গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০১১ সালে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। এর এক বছর পর তাকে সৌদি আরবের যুবরাজ উপাধি দেওয়া হয়।
সালমান বেশ দক্ষ ও চৌকস প্রশাসক। একইসঙ্গে তিনি যেমন দক্ষতার সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্ব মেটাতে সক্ষম, তেমনি রাজ কার্যেও দক্ষতার পরিচয় দেন।
আব্দুল আজিজ অসুস্থ হওয়ার পর থেকে মূলত রাষ্ট্রের কাজ সালমানই দেখতেন। বাদশা আব্দুল্লাহ মারা যাওয়ার পর নতুন বাদশা কে হবেন তা নিয়ে বিরোধও সৃষ্টি হয় সৌদি আরবের রাজপরিবারে।
বাদশা ফাওহাদ ১৯৮২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সিংহাসনে থাকার সময় সুলতান ও নায়েফকে আগেই যুবরাজ হিসেবে উপাধি দেন। ফাওহাদ মারা যাওয়ার পর আব্দুল্লাহ আজিজ সিংহাসন আরোহণ করেন।
২০১২ সালের ১৮ জুন নায়েফ মারা যাওয়ার পর সালমানকে যুবরাজ ও উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া দেন বাদশা আব্দুল্লাহ।
একই বছরের ২৭ আগস্ট বাদশা আব্দুল্লাহ যখন ব্যক্তিগত ছুটি কাটান তখন সালমানকে চার্জ অব স্টেট অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন সালমান।
তথ্যসূত্র : বিবিসি, উইকিপিডিয়া।
মন্তব্য চালু নেই