সেই প্রিন্সেস ডায়নার কথা মনে আছে?

সাবেক ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়নার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই! আর থাকারই কথা। কারণ, বেশি দিন তো আর হয়নি তার গত হওয়া। যার মৃত্যুর পর পৃথিবী জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিলো। কোন রানীও মারা গেলে রয়েল পতাকা নামানো হয়না। শুধু তার সৌজন্যে সেই পতাকা নামানো হয়েছিলো।

প্রায় ১ হাজার কোটি মানুষ তার মৃত্যুর পর টেলিভিশনে দেখেছেন ও রডিওতে খবর শুনেছেন। ঠিক তার বিয়ের অনুষ্ঠানও প্রায় ৫শ কোটি মানুষ টেলিভিশনে দেখেছেন। সেই প্রিন্সেস ডায়নার কথা বলছিলাম। তিনি ছিলেন আগুনঝড়া সুন্দরী। তার সামাজিক কর্মকাণ্ড ও আচারণের কারণে পুরো বিশ্বই দারুণ প্রশাংসিত ছিলেন। তৈরি হয়েছিলো কোটি কোটি ভক্ত।

পিপলস রাজকুমারী , প্রিন্সেস ডায়ানা, ১৯৬১ সালে জুলাই মাসের ১ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম লর্ড স্পেনসর ও মাতার নাম ফ্রান্সেস স্যান্ডাকিড। ২০ বছর বয়সে ১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই ইংল্যান্ডের রাজকুমার প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ডায়নার বিয়ে এবং ১৯৯৬ সালের ২৮ আগস্ট বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের পূর্বেই তিনি তার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারিকে নিয়ে রাজপ্রাসাদ ছাড়েন।

১৯৯২ সালের ৯ ডিসেম্বর ডায়ানা ও চার্লস আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা থাকার ঘোষণা দেন।

এরপর আর রাজবধূ নন ডায়ানা। ব্যক্তি জীবনে প্রেমের খোঁজ হয়তো করেছেন। সে নিয়ে মিডিয়ার মাথাব্যথা কম ছিল না। বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটানোর পর ডায়ানার সঙ্গে এক মিসরীয় ধনকুবেরের প্রেমের কথা জানাজানি হয়। তাদের ছুটি কাটাতে গিয়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ব মিডিয়া। মিসরীয় ধনকুবেরের নাম দোদি আল ফাহাদ।

১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট প্যারিসে নাটকীয় এক সড়ক দূর্ঘটনায় ব্রিটেনের সুন্দরী রাজপুত্রবধূ ডায়ানা ও তার প্রেমিকের মৃত্যু হয়। আজও সেই মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উন্মুচিত হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই