সেই পুরনো ট্রাম্প
আগের মতই আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরাবরই গণমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিকদের ওপর আক্রোশ রয়েছে তার। সুযোগ পেলেই এদের এক হাত দেখে নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ১০০ দিনের কর্মদিবসে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে এক সমাবেশে আবারও গণমাধ্যমের ওপর নিজের রাগ ঝেড়েছেন তিনি।
সমাবেশে ট্রাম্প তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, তিনি একটার পর একটা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলছেন। তার সম্পর্কে গণমাধ্যমের সমালোচনাকে তিনি ‘ভুয়া খবর’ বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের মতে সাংবাদিকরা কোনো খবর না জেনেই এসব করছে যার কোনো ভিত্তি নেই।
এর আগে হোয়াইট হাউসে সংবাদদাতাদের জন্য আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেননি ট্রাম্প। ১৯৮১ সালে রোনাল্ড রিগেনের পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাৎসরিক ইভেন্টে যোগ দেননি। তবে রিগেন অসুস্থ থাকার কারণেই এমনটা করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের বেলায় সেটা ছিল ইচ্ছাকৃত।
ট্রাম্পের এই সমাবেশের আগে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র যেন সরে না আসে সেই দাবিতে কয়েক হাজার মানুষ বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছেন।
হ্যারিসবার্গে সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ১শ দিনের কর্মদিবসে তার অর্জন সম্পর্কে গণমাধ্যমের বড় ধরনের কভারেজ দেওয়া উচিত।
ট্রাম্প বলেন, তার ১শ দিনের কর্মদিবস ছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এবং বেশ কার্যক্ষম। বারাক ওবামার প্রশাসন একেবারে জগাখিচুড়ি অবস্থায় ছিল এমন মন্তব্য করে ট্রাম্প বলেন, যে কোনো লড়াইয়ের জন্য তিনি প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রেই জয়ী হবো।’
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যেই বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় যে প্যারিস চুক্তি করা হয়েছিল সেটাকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ধাপ্পাবাজি’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনা হবে।
মন্তব্য চালু নেই