‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ লঙ্ঘন মানেই যুদ্ধের ডাক: পাকিস্তান
উরির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলায় ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তান জড়িত বলে দাবি তুলেছে ভারত।
তবে পাকিস্তান বলছে অন্য কথা। দেশটির দাবি, এটা মোদী সরকারের চাল। তাছাড়া কোনো ঘটনা হলেই পাকিস্তানের ওপর দায় চাপানো ভারতের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।
উরির ঘটনায় ভারতের জনগণ উত্তেজিত। তারা চায় পাকিস্তানে হামলা করুক ভারত। দেশ থেকে পাকিস্তানি অভিনয় শিল্পীদের পিটিয়ে বের করে দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে দেশটির কট্টরপন্থি শিবসেনারা।
এবার তাতে যোগ হল এক চিমটে বারুদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’র বিষয়ে কল্যাণ মার্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। এই চু্ক্তি ভেঙে দেয়া নিয়ে জল্পনা শুরু করেছে ভারত।
৫৬ বছর আগে ১৯৬০ সালে করাচিতে ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এই চুক্তি সাক্ষর করেছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, কাশ্মীর-পঞ্জাব অঞ্চলে শতদ্রু, বিপাশা এবং ইরাবতী— এই তিনটি নদীর উপরে নয়াদিল্লি কোনো নির্মাণ কাজ করেতে পারবে না। কারণ এই তিন নদীর জল কোনোভাবে আটকে দিলে পাকিস্তানে খরার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাবে। সেই কারণেই বিশ্ব ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে এই পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বিগত ৫৬ বছরে দুই দেশের মধ্যের সম্পর্কে উত্থান পতন এলেও টিকে গিয়েছিল এই চুক্তিটি। কিন্তু উরি কাণ্ডের পর থেকেই পরিস্থিতি যেদিকে গড়িয়েছে, এবার সেই চুক্তির ভবিষ্যতই প্রশ্নের মুখে।
পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ নীতি সংক্রান্ত উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারত কখনও একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারে না। এটা করা হলে, তা যুদ্ধ ঘোষণা করার সমতুল্য হবে বলে মনে করছে ইসলামাবাদ।’
মন্তব্য চালু নেই