কিডনিতে পাথর

সালাহ উদ্দিনকে ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতালে স্থানান্তর

কিডনিতে পাথর ধরা পড়ায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে নর্থ ইস্ট ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল রিসার্চ এ্যান্ড ইনস্টিটিউট হাসপাতালে (নেগ্রিমস) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে তাকে ওই হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে সালাহ উদ্দিনের চিকিৎসক জি কে গোস্বামী বুধবার জানিয়েছেন, ‘সিটি স্ক্যানে সালাহ উদ্দিনের কিডনিতে পাথর ধরা পড়েছে। তার আরও কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। কিডনি চিকিৎসার জন্য আরও বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার। এ সুবিধাগুলো সিভিল হাসপাতালে নেই।

এ সম্পর্কে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি জানিয়েছেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ কিডনি, চর্মরোগ ও প্রোস্টেটের কিছু সমস্যায় ভুগছেন। শিলং সিভিল হাসপাতালে এসব সমস্যার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় সেখানকার চিকিৎসকরা তার জন্য একটি বোর্ড গঠন করেন। সেই বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে নর্থ ইস্ট ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিকেলে কড়া পুলিশি পাহারায় তাকে শিলং সিভিল হাসপাতাল থেকে নর্থ ইস্ট ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল রিসার্চ এ্যান্ড ইনস্টিটিউট হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

সালাহ উদ্দিন ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছেন কি না জানতে চাইলে জনি বলেন, ‘শিলং সিভিল হাসপাতালে খাবার-দাবারের ব্যাপারে বেশ কড়া। সেখানে বাইরের কোনো খাবারই ভেতরে নেওয়া যায় না। চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের হাসপাতাল থেকেই খাবার সরবরাহ ও তদারকি করা হয়।’

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জনি জানান, তিনি (সালাহ উদ্দিন) সুস্থ এ ছাড়পত্র চিকিৎসকরা দিলেই মামলাটি আদালতে উঠবে। এরপর ভারতের আইন অনুসারে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন যে তাকে ভারতের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেবেন কি না। এর আগ পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। কারণ সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ছাড়পত্র তো আর চিকিৎসকরা দিতে পারবেন না, ওটা দেবেন আদালত।’

শিলং টাইমস সরকারি আইনজীবীদের বরাতে খবর দিয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশের আইনে সালাহ উদ্দিন একজন অভিযুক্ত। এজন্য দুই দেশের মধ্যকার কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে হাসপাতালের মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবীরা জানান, ফরেনার্স এ্যাক্টে কেউ আটক হলে তার সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর জেল। তবে দেশ ভেদে ভারতে এ সাজার রকমফেরও রয়েছে। দীর্ঘ দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর সালাহ উদ্দিন গত ১১ মে শিলংয়ে উদ্ধারের পর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় পুলিশের কাছে আটক হন। এরপর ১২ মে থেকে শিলং সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তবে সালাহ উদ্দিনের দাবি, তিনি নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন। এর আগের দিন শিলংয়ের এক জায়গা থেকে উদ্ধার করে একটি মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে। এ দিনই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করায় ফরেনার্স এ্যাক্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে মেঘালয় পুলিশ।

গত ১০ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তার পরিবার ও দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই