জবি শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবি

প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল প্রত্যাখ্যান করে স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জবি শিক্ষক সমিতি। যতদিন পর্যন্ত স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষিত না হয় ততদিন পর্যন্ত টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড অব্যহত রাখার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

বুধবার দুপুর ১১টায় জবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান শিক্ষকরা। শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহা: আলী নূর বলেন, প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল কাঠামোতে শিক্ষকদের মর্যাদাহানী করা হয়েছে। সিনিয়র অধ্যাপকের বেতন পদায়িত সচিবদের বেতন কাঠামো থেকে দুই ধাপ নিচে বিবেচনা করা হয়েছে। এতে মূল বেতন সপ্তম বেতন কাঠামো থেকেও দুই ধাপ কমিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন স্কেল কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় শিক্ষকরা হতবাক ও বিষ্মিত হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকদের বৃহত্তর স্বার্র্থে জবি শিক্ষক সমিতি অষ্টম বেতন স্কেল প্রত্যাখ্যান করছে এবং তিব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেন বলেন, প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন স্কেলে শিক্ষকরা গ্রেড-৩ এর স্কেলে বেতন পাবেন। দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু তাদের মর্যদাহানী করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পার্শ¦বর্তী দেশ ভারত, পাকিস্থান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ ও নেপালের চেয়ে বাংলাদেশের শিক্ষকদের বেতন ছয় গুন কম। এমতাবস্থায় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবি জানাচ্ছেন জবি শিক্ষকরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অষ্টম বেতন স্কেল বাতিল করে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষকেেদর স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের কথা উল্লেখ করেছে আওয়ামি লীগ। কিন্তু তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করেও শিক্ষকদের দাবি পূরন করেনি।

এসময় তিনি বলেন, সিনিয়র অধ্যাপক ও অধ্যাপকদের পদমর্যাদা ও বেতন যথাক্রমে সিনিয়র সচিব এবং পদায়িত সচিবদের সমান করা সহ স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো গঠনের দাবি পূরণ না করলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নির্দেশনায় পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন শিক্ষকরা।

এসময় শিক্ষক সমিতির কোষঅধ্যক্ষ ড. মো: আমিনুল হক এবং সাবেক সাধারন সম্পাদক ড. কাজী সাইফুদ্দীনসহ অন্যন্য শিক্ষকনেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই