‘সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডে হেফাজতে ইসলাম জড়িত!’

দেশে সম্প্রতি হত্যাকাণ্ডে (গুপ্তহত্যা) হেফাজতে ইসলাম জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা। তারা অভিযোগ করেন, “হেফাজতে ইসলাম তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। তারা সুপরিকল্পিতভাবে এই দেশকে সাম্প্রদায়িকতার বেড়াজালে আবদ্ধ করতে চায়”।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশর জন্য গণমাধ্যম” এর ব্যনারে আয়োজিত এক মানবন্ধনে এসব অভিযোগ করেন বক্তারা। মানুষ হত্যা, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে এ মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়।

শিক্ষক, ব্লগার, প্রকাশক হত্যাকাণ্ডে ইসলামী জঙ্গি সম্পৃক্ততারও অভিযোগ আনা হয় মানববন্ধন থেকে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিফইউজে) মহাসচিব ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য কামরুজ্জামান খান সহ অন্যান্য গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম অতীতে যেভাবে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি করে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যার্থ হয়েছে এখন তারা এসব হত্যাকণ্ড ঘটিয়ে নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে চায়। তারা চায় আবারো দেশকে অস্থিতীশীল করতে”। এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধে অভিলম্বে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ, গত দেড় বছরে সব মিলিয়ে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ৪৯ জন মানুষ। এর প্রেক্ষিতে দেশে এখন সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। এরই মধ্যে ১২ হাজারেও অধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই