সামরিক ব্যয় বাড়াবে চীন, হিসাব কষছে ভারত
সামরিক ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের পরে দেশটি সামরিক ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো। ধারণা করা হচ্ছে প্রায় সাত শতাংশের মতো ব্যয় বাড়াবে দেশটি।
রোববার (৫ মার্চ) এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে চীন সরকার।
পৃথিবীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য সব দেশের চাইতে সামরিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে চীন। তবে সাম্প্রতি তা কমিয়ে আনছিল। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, চীনের এমন সিদ্ধান্তে ভারত তাদের সামরিক ব্যয় বাড়াতে পারে। ভারত সামরিক ব্যয় বাড়ালে পাকিস্তানও এ খাতে ব্যয় বাড়াবে। ফলে স্নায়ু উত্তেজনা বাড়তে পারে এশিয়ার এ দেশগুলোর মধ্যে।
সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক চলছে চাপা উত্তেজনার মধ্য দিয়ে। সামরিক ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে একজন চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থ রক্ষা করার সক্ষমতা চীনের থাকা প্রয়োজন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় ১০ শতাংশ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করার কয়েকদিন পরই চীন সামরিক ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সামরিক ব্যয়ের বেশির ভাগই খরচ করা হচ্ছিল বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বা দূরপাল্লার বোমারু বিমানের মতো প্রযুক্তির পেছনে।
চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের উদ্বোধনের আগে এর মুখপাত্র ফু ইং বলছেন, প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়বে সাত শতাংশের মতো। গত দুই বছর ধরে চীনের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি এক অংকের মধ্যেই আবদ্ধ ছিল। যদিও তার আগে প্রায় দুই দশক ধরে এই বৃদ্ধির হার ছিল ১০ শতাংশ বা তারও বেশি।
তবে চীনের সামরিক ব্যয়ের ওপর যারা নজর রাখেন, তারা এই সরকারি হিসাব কতটা সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কারণ তাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, চীনের সামরিক ব্যয়ের অনেক কিছুই গোপন রাখা হয়। যা প্রকাশ করা হবে, তার চেয়ে ব্যয় বৃদ্ধির প্রকৃত পরিমাণ অনেক বেশি হবে।
মন্তব্য চালু নেই