সাত মাস বয়সী শিশুর পেটে ২২ সপ্তাহের ভ্রূণ!

সাত মাস বয়সী শিশু সাজিয়া জান্নাতের পেট থেকে অস্ত্রোপচার করে গতকাল বুধবার প্রায় ২২ সপ্তাহের একটি ভ্রূণ বের করেছেন চিকিৎসকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকেরা সাজিয়ার সার্বিক অবস্থা জানান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আশরাফ উল হকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল অস্ত্রোপচারটি করেন। মাথার খুলিবিহীন ভ্রূণটির দুই পা সুগঠিত। ডান হাত ও মাথা কিছুটা অগঠিত। শিরদাঁড়ার ওপর চামড়া নেই। ঘাড় ও মাথার কাছে কিছু চুল ছিল। ভ্রূণটি ছিল একটি ছেলে শিশুর।

সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের পরিচালক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক আবদুল হানিফ, আতিকুর রহমান, আবিদ হোসেন মোল্লাসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন সাজিয়ার বাবা শফিকুল আলম ও মা সুমি বেগমও।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাজিয়ার বাবা-মা জামালপুরে থাকেন। এই দম্পতির প্রথম সন্তান সাজিয়া। জন্মের পর ভালো থাকলেও চার মাস বয়সে সাজিয়ার নাভির কাছে শক্ত চাকা অনুভব করেন মা সুমি বেগম। ধীরে ধীরে তা বড় হতে থাকে। সাজিয়া সারাক্ষণ অস্থির থাকত। পরে আলট্রাসোনোগ্রাফি পরীক্ষায় ভ্রূণের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

সাজিয়ার মা সংবাদ সম্মেলনে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ভাবিনি আমার বাচ্চা ফেরত পামু। ও যে বাইচ্যা আছে তাতেই হাজার শুকরিয়া।’ তিনি চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

সাজিয়াকে ১৩ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে চলতে থাকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তার জন্ডিস ও ঠান্ডাজনিত সমস্যার চিকিৎসা করা হয়। শিশুটি​র চিকিৎ​সা দলের প্রধান অধ্যাপক আশরাফ উল হক প্রথম আলোকে বলেন, সাজিয়া এখন একটু ভালো আছে। তবে তার দীর্ঘদিন জন্ডিস ছিল। সে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই