সাতক্ষীরার প্রধান ডাকঘরের ভবন উদ্বোধনের অপেক্ষায়

এখন পুত্র পিতার কাছে টাকা চেয়ে চিঠি লেখে না। রানার এখন অলস ঘুমায়। তাই বলে পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখনও কমিনি। তথ্য আদান প্রদানে পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখনও পরিসীম। কিন্তু সাতক্ষীরার প্রধান ডাকঘরটির নতুন ভবন নির্মানে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় জেলাবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে। ১৯৬৫ সালে সাতক্ষীরার প্রধান ডাকঘর এর কার্যক্রম শুরু হয়। অফিস টি শহরের কাছারিপাড়া মোড়ে অবস্থিত। ডাকবিভাগের মূল সার্ভিস এবং এজেন্সি সার্ভিস সমূহ সাতক্ষীরা প্রধান ডাকঘর এর বিভিন্ন শাখা সমূহ থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং সাতক্ষীরার জনসাধারনের মানসম্মত সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান পোষ্ট মাস্টার সাখাওয়াৎ হোসেন। সাতক্ষীরা প্রধান ডাকঘর এর আওতায় আছে ৫টি উপজেলা ০৬টি সাব ডাকঘর ও ৫৪টি শাখা ডাকঘর। এসমস্ত ডাকঘর এর দৈনন্দিন হিসাব সম্পাদক ছাড়াও সংশ্লিস্ট ডাকঘর সমূহে দৈনন্দিন লেনদেনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ করে এই প্রধান ডাকঘর। সাতক্ষীরা প্রধান ডাকঘর এর মোট ৪৬ জন কর্মকর্তা/ কর্মচারী আছেন। তারমধ্যে পোস্ট মাস্টার ১ জন, পরিদর্শক ২ জন, ট্রেজারার ১ জন, টিআই ১ জন, অপারেটর ১২ জন, সহকারি পরিদর্শক ২ জন, পোস্টম্যান ৭ জন, ষ্ট্যাম্পভ্যান্ডার ১ জন, প্যারগর ৭জন। দু:খের বিষয় হলেও সত্য বর্তমান কম্পিউটার যুগে প্রধান ডাকঘরে স্থায়ী ভাবে কোন কম্পিউটার অপারেটর পদ নেই। ওই অফিসের কতিপয় কর্মচারীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে যেনতেনভাবে চলছে কম্পিউটারের কাজ। একপ্রশ্নের জবাবে সাখাওয়াৎ হোসেন এ প্রতিবেদক কে জানান যদি এ ডাকঘরে স্থায়ীভাবে ২ জন কম্পিউটার অপারেটর কাজ করেন তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে স্বল্প সময়ে জনগণের দোরগোড়ায় ডাক সুবিধা পৌছে দেয়া যাবে। সাতক্ষীরা প্রধান ডাকঘর এর সেবা সম্পর্কে জানতে চাইলে পোষ্ট মাস্টার জানান, সাধারণ চিঠি বিলি, রেজিঃ চিঠিবিলি, জিইপি, ইএনএস, এয়ার পার্সেল, মানি অর্ডার বিক্রি, ইলেকট্রিক মানি অর্ডার সার্ভিস, পোস্টাল ক্যাশ কার্ড, আর্থিক সেবার মধ্যে সঞ্চয় হিসাব, মেয়াদী হিসাব, সঞ্চয়পত্র হিসাব হস্তান্তর, মরোনত্তরদাবী, মেয়াদ পুর্তি সেবা ইত্যাদি প্রদান করা হয়ে থাকে।
তিনি আরও জানান, সাতক্ষীরা প্রধান ডাকঘর বিল্ডিং নির্মান করার জন্য ২০০৮ সালে ৯২ লক্ষ টাকার টেন্ডার দেয়া হয়। যার ঠিকাদার বাগেরহাটা জেলার মোঃ সেলিম। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর অতিক্রম করার পর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিল্ডিং প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। চলতি মাসের শেষ নাগাদ সাতক্ষীরা প্রধান ডাকঘর এর উদ্বোধন করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরপর খোলা মেলা জায়গায় মানুষের সেবা একটু বেশি দেওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন। তবে যদি বর্তমান সরকার সাতক্ষীরা প্রধান ডাকঘর এর জন্য ২টি কম্পিউটার অপারেটরের পদ সৃষ্টি (পিপি) করে দক্ষ ২ জন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দিলে আরও দ্রুত সেবা পাবে সাতক্ষীরার মানুষ।



মন্তব্য চালু নেই