সাতক্ষীরার খবর (২৬/৯/১৪)

গৃহবধুর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা:
মানসিক যন্ত্রনা সইতে না পেরে রেখা দাশ (৪০) নামের এক গৃহবধু গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার সকালে জেলার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। তিনি ঐ গ্রামের ভরত দাশের স্ত্রী।
রেখা দাশের স্বামী ভরত দাশ জানান, তার স্ত্রী দীর্ঘদিন মানসিক যন্ত্রনায় ভুগছিল। কয়েক বছর যাবত তার পেটে ব্যাথা, মেয়ের চাকুরির জন্য টাকা দিয়ে ফেরত না পাওয়া, সম্প্রতি ছেলের মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি মানসিক যন্ত্রনায় ভুগছিলেন। শুক্রবার সকালে বাড়িতে কেউ না থাকায় সে ঘরের ভিতর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

বৈষম্য বিলোপ আইন প্রনয়নের দাবীতে মানববন্ধন, র‌্যালি গনস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান:
দলিত জনগোষ্টির মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষন বৈষম্য বিলোপ আইন প্রনয়নের দাবীতে মানববন্ধন, র‌্যালি, গনস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে দলিত পরিষদ। বাংলাদেশ দলিত পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্দ্যেগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানবব্ধন কর্মসুচি পালন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দলিত পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বদ্যনাথ দাস, সাধারণ সম্পাদক গৌর পদ দাস, প্রবীর দাস, কার্তিক দাস, সুমন সরকার, দিপালী, কাশিনাথ দাস, সুশান্ত কুমার প্রমুখ। র‌্যালি করে জেলা প্রসাশকে কার্যালয়ে যেয়ে জেলা প্রসাশকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সিগারেট কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির গলা কেটে প্রায় ৩ লাখ টাকা লুট:
সাতক্ষীরায় ব্রিটিশ অমেরিকান টোবাকো কোম্পানি (বেনসন এন্ড গোল্ডলিফ) সিগারেট কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি রবিউল ইসলামকে (৩০) গলাকেটে প্রায় ৩ লাখ টাকা লুট করেছে মেহেদী হাসান নামের এক ব্যবসায়ি। আংশকাজনক অবস্থায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রবিউল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়াখোলা গ্রামের ভাটপাড়ার হাসান আলীর ছেলে। মেহেদী হাসান শহরের পলাশপোল এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, রবিউল ইসলাম বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের বিপরীতে অবস্থিত মেহেদী হাসানের দোকানে সিগারেট বিক্রির পাওনা টাকা চাইতে যায়। এ সময় মেহেদী তাকে দুপুর ৩টার দিকে টাকা নেওয়ার জন্য আসতে বলে। কথা অনুযায়ী রবিউল ইসলাম টাকা চাইতে গেলে মেহেদী হাসান তাকে টাকা দেয়ার নাম করে তার পলাশপোলস্থ বাড়ীতে নিয়ে যায়।
বাড়ি যেয়ে মেহেদী রবিউলকে সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবার খায়। খাওয়া দাওয়া শেষে এক পর্যায়ে মেহেদী কৌশলে ধারালো ছুরি দিয়ে রবিউল ইসলামকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে তার কাছে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা রবিউলের চিৎকার শুনে ছুটে এসে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার অপারেশন চলছিল বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মারুফ হাসান জানান,রবিউল ইসলামের অবস্থা আশংখাজনক।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেহেদী হাসানকে প্রেফতারে পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে।

অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার প্রাক্কালে কোমরপুর সীমান্ত এলাকায় ৮জন আটক:
অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার প্রাক্কালে সাতক্ষীরার কোমরপুর সীমান্ত এলাকায় ৮জনকে আটক করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন, দেবহাটা উপজেলার সখিপুর গ্রামের মজিবুর রহমান (৫০), একই গ্রামের সবুজ সরদার (২৮), কমঢা গ্রামের ফজলুর রহমান (৩০), নারকিলি গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (২২), একই গ্রামের সাজ্জাদুল ইসলাম (২০) ও ইউনুছ সরদার (২৮), খেজুর বাড়ী গ্রামের আঃ সামাদ (২২), এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা গ্রামের তৈয়বুর রহমান। নীলডুমুর,৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শাখরা বিওপির নায়েব সুবেদার মজিবুর রহমান জানান,দেবহাটা সীমান্তের কোমরপুর হাদাবর মোড় এলাকায় তার নেতৃত্বে বিজিবি’র জওয়ানরা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। এ ব্যাপারে দেবহাটা থানায় পাসপোর্ট আইনে একটি মামলা দিয়ে তাদেরকে সোপর্দ করা হয়েছে।

উপকূলীয় বাঁধ রক্ষার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী:
শ্যামনগর উপজেলার আইলা উপদ্রুত গাবুরা, পদ্মপুকুর ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় বাধ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে শ্যামনগর উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি এবং সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিমের সহযোগিতায় স্থানীয় চকবারা মানবকল্যাণ কৃষক সংগঠন, দাঁতিনাখালী বনজীবী নারী উন্নয়ন সংগঠন, একতা যুব সংঘ এবং সংগ্রামী যুব ফাউন্ডেশন সম্মিলিতভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিমের সভাপতি মারুফ হোসেনের সঞ্চালনায় বাধ রক্ষার দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবিউল ইসলাম, চকবারা কৃষক সংগঠনের সভাপতি আবু মূছা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম, সাজিদা বেগম, পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশরাফ হোসেন, পরিবেশ বন্ধু জাকির হোসেন, উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও চ্যানেল আই কৃষিপদক প্রাপ্ত কৃষক শেখ সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আকবর কবীর, স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিমের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সর্বাধিক দুর্যোগ ঝূঁকিপূর্ণ উপজেলা শ্যামনগর। আইলার দীর্ঘ ৫ বছর অতিবাহিত হলেও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কামালকাটি, পশ্চিমপাতাখালী, খুটিকাটা ও চাউলখোলা, গাবুরা ইউনিয়নের লেবুবুুনিয়া, পার্শ্বেমারি, জেলেখালী, গাগড়ামারী ও নাপিতখালী এবং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটী, নীলডুমুর ও কলবাড়ী স্থানের উপকূলীয় বাঁধ এখনো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝূকিপূর্ণ। এতে গাবুরা, পদ্মপুকুর ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের মানুষেরা এখনো প্রতিনিয়ত অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছে। বক্তারা আরো বলেন, জরুরী ভিত্তিতে এই তিনটি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করা না হলেও আবারও আইলার মত পরিণতি হতে পারে। একাধিক বার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করলেও কার্যকরি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। মানববন্ধন থেকে অতিদ্রুত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চাহিদা অনুযায়ী গাবুরা, পদ্মপুকুর ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ঝূঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কার করে উপকূলীয় জানমাল রক্ষার দাবি জানানো হয়।

হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবনের মালামাল চুরির হিড়িক:
আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত বিল্ডিং এর মালামাল রাতের আঁধারে চুরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে সরকার হাজার হাজার টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালের দ্বিতল বিশিষ্ট পুরনো বিল্ডিংটি দীর্ঘকাল যাবৎ পরিত্যক্ত ঘোষণা ও ব্যবহার না করে ফেলে রাখা হয়েছে। বির্ল্ডি এর দরজা, জানালা, জানালার গ্রীল, আসবাবপত্র, বারান্দার গ্রীলসহ লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল সেখানে অরক্ষিতই রয়ে গেছে। হাসপাতালের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজসে এলাকার চোর-ছ্যাচড়া এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তিবর্গ দিনের পর দিন ধরে গোপনে ও রাতের আঁধারে ভবনের মালামাল চুরি করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে চুরির কারবার চলে আসলেও তা প্রতিহত করার তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে হাজার হাজার টাকার মালামাল ইতিমেধ্য চুরি হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে অন্যান্য মালামাল ক্রমে ক্রমে উধাও হওয়ার সম্ভাবনা বিরাজ করছে। তাছাড়া অরক্ষিত ও নিরাপদ জায়গা হিসাবে ভবনটির বিভিন্ন কক্ষ অসামাজিক কর্মকাণ্ড ও মাদকসেবীদের অভয়রান্য হিসাবে ব্যবহৃত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া পরিত্যাক্ত ভবন এলাকা ও পাশের জায়গায় জলাবদ্ধতার কারণে হাসপাতালের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে হাসপাতালে আগতরা প্রতিনিয়ত অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়ে থাকে। এব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ বিশেষ করে পরিত্যক্ত ভবনটি বিক্রয় করে অপসারণের জন্য উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।

ভেড়ী বাঁধে আবারও ভয়াবহ ভাঙ্গন:
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী খেয়াঘাটের কাছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ী বাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের নেতৃত্বে ৪/৫ শত মানুষ বাঁধ রক্ষায় প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
খেয়াঘাটের কাছে দীর্ঘকাল যাবৎ ভাঙ্গন চলে আসছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। মঙ্গলবার বিকালে ১ম দফায় ভাঙ্গন শুরু হয় এবং গতকাল (বুধবার) সকালে একবারে ৩০/৪০ হাত বাঁধের বেশীর ভাগ নদী গর্ভে ধ্বসে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে এলাকার মানুষের মধ্যে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল এলাকার ৪/৫ শত মানুষ নিয়ে বাঁধ রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে বাঁশের খাচা তৈরি করে তাতে বালির বস্তা ভওে ভাঙ্গন স্থানে বসানো শুরু হয়েছে। রাতে জেনারেটর চালিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মাৎ মমতাজ বেগম গতকাল সকালে ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শণ করেছেন। বিকালে পাউবো’র কর্মকর্তারা সেখানে যান বলে জানাগেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, আমরা সকলে মিলে বাঁধ রক্ষায় যা কিছু করণীয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহ রহম করলে আমরা ভাঙ্গনের হাত থেকে এলাকাবাসীকে বাঁচাতে চাই।

সাতক্ষীরা পৌরসভার রাস্তার বেহাল দশা:
সাতক্ষীরা পৌরসভার রাস্তার বেহাল দশা। পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ইটাগাছা বাঙ্গলের মোড় থেকে রইচপুর পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি পরিণত হয় মরণফাঁদে। শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংযোগ রক্ষাকারী সড়ক হলেও মেরামত বা সংস্কার হয়না বহু বছর। সরেজমিনে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা পৌরসভার এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলার ভ্রমণ পিপাসুসহ বিদেশী পর্যটকরাও সাতক্ষীরার মতো এই ছোট্র জেলাতে ভ্রমনে আসে। কিন্তু রাস্তাটির বেহাল দৈন্য-দশার কারনে জেলার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।
স্থানীয়রা বলেন, “এই এলাকার প্রায় ১৫-২০ হাজার মানুষের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি খুব ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। রাস্তার ছাল-চামড়া উটতে উটতে এখন বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে বড় বড় গর্তগুলো যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়। এ রাস্তার চিত্র দেখে মনে হয় সাতক্ষীরা পৌরসভার সবচেয়ে অবহেলিত মানুষের বসবাস এ এলাকায়। এই রাস্তার করুণ দশার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এ এলাকার মানুষ। এরপরেও রাস্তাটির সুব্যবস্থা হচ্ছেনা। শুধু আশার বাণী শুনেই দিন পার করছে এলাকাবাসী।” প্রায় ১৫০ বিঘা জমির উপর সবুজ শ্যামলীময় বৃক্ষ শোভিত বাগান বাড়িতে রয়েছে বার্ডপার্ক, প্রজাপতি পার্ক, চিড়িয়াখানা, ন্যাচারাল সুইমিংপুল, রিসোর্টসহ বিভিন্ন আনন্দদায়ক ও নান্দনিক বিনোদনের ব্যবস্থা। একাধিক সূত্রে জানা যায়, সরকার প্রতি মাসে এ বাগানবাড়ি থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকার রাজস্ব পেয়ে থাকে। এছাড়া মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্টে স্থায়ীভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবারের এবং অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমান দোকান দিয়ে আরও প্রায় এক’শ পরিবারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই বাগানবাড়ীতে যাওয়ার একমাত্র এ রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাদে। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলার ভ্রমণপিপাসু হাজার হাজার শিশু, কিশোর, যুবক-যুবতী, তরুণ-তরণীসহ পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা রাস্তার বেহাল দশায় পড়েছেন বিপাকে।
এব্যাপারে মোজাফ্ফার গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট এর স্বত্তাধিকারী খায়রুল মোজাফ্ফার মন্টু বলেন, “দেশের একটি ছোট্র জেলার মতো জায়গায় বিনোদনের একটি স্থান গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থান ও দেশের বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা এ রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছে। এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌর মেয়র আলহাজ্ব এম এ জলিল বলেন, “গত বছরের জুন মাসের পর থেকে আমরা রাস্তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত করেছি। সর্বশেষ সদর ২ আসনের এমপি মহোদয়ের ডি.ও লেটার নিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২-৩ দিন আগে এলজিইডি কর্তৃক সাতক্ষীরা এলজিইডি বরাবর পি.পি চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এলজিইডি কর্তৃক পিপি পাঠানো হলে আশা করছি এ কাজটি শুরু হবে।”



মন্তব্য চালু নেই