সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে: সু চি

মিয়ানমারের সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি হবে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অং সান সু চি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য কাজ করছে নতুন সরকার।

প্রধানমন্ত্রী সমমর্যাদায় রাষ্ট্রীয় পরামর্শক (স্টেট কাউন্সিলর) হওয়ার পর এটি সু চির প্রথম কোনো পদক্ষেপ। সামরিক সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার কারণে বিরোধীদলের অনেক নেতা-কর্মীকে বন্দি করা হয়। সু চির দল এনএলডির অনেকে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে জেলের ঘানি টানছেন।

সু চির এনএলডি নির্বাচনে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। সাংবিধানিক বাধার কারণে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে নেতৃত্ব ও নীতি তারই হাতে থাকছে।

মিয়ানমারে ৫০০ রাজনৈতিক বন্দির ওপর সু চির ঘোষণা প্রভাব ফেলবে অথবা তাদের বিচারেও এর প্রভাব পড়বে। সু চি নিজেও রাজনৈতিক বন্দি ছিলেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্ত করায় সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

মিয়ানমারে এরই মধ্যে কয়েক শ রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের সামরিক শাসনের সংস্কার হিসেবে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। রাজনৈতিক সংস্কারের হাত ধরে মিয়ানমারে সামরিক শাসনের অবসান হয় এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

এখনো যেসব রাজনৈতিক বন্দি কারাগারে আছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশ গ্রেফতার হন সামরিক সরকারের অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভ-সমাবেশ করতে গিয়ে। এবার সু চি তাদের মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

কোন রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তার তালিকা প্রকাশ করা না হলেও জানা গেছে, কারগারে থাকা ১০০ বন্দি এবং বিচারের অপেক্ষায় থাকা ৪০০ শিক্ষার্থীকে দায় মুক্তি দেওয়া হতে পারে।

এদিকে বুধবার মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট থিন কিউ এবং সু চির সঙ্গে টেলিফোনে বুধবার কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। দীর্ঘদিন ধরে দৃঢ় প্রচেষ্টা ও ব্যক্তিজীবনের মূল্যে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর ও জাতীয় ঐক্যের জন্য সু চির প্রশংসা করেন ওবামা।

গেল সপ্তাহে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং লির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সু চি। নতুন সরকারের চারটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিলেও পরে দুটির দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। এখন তিনি মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।



মন্তব্য চালু নেই