সংলাপের দরজাও বন্ধ করেছেন খালেদা : মেনন

রধানমন্ত্রীর জন্য নিজ কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করে খালেদা জিয়া সংলাপের দরজাও বন্ধ করে দিয়েছেন- এমন মন্তব্য করে, শর্ত আরোপ করে কোন আলোচনা নয় বলে সাফ জানালেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

খালেদা জিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার বিচার ঠিকই শুরু হয়ে গেছে। যারা মানুষের রক্ত নিয়ে হোলি খেলে অচিরেই তাদেরও বিচার শুরু হবে।’

বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের পূরবী সিনেমা হলের সামনে ঢাকা মহানগর ১৪ দল আয়োজিত এক শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মেনন বলেন, ‘পেট্রোল বোমায় দেশের মানুষের যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য খালেদা জিয়াকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ওপর মানুষের গজব নাজিল হয়েছে কিনা আমরা জানি না। কিন্তু নিজের কোল খালি হওয়ার পরও তিনি কি বোমা হামলায় সন্তানহারা মায়েদের আহাজারি শুনতে পান না?’

খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০১৯ সালের আগে কোন নির্বাচন হবে না। আর সেই নির্বাচনও শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। আপনি এ চার বছর দল গোছাতে থাকেন। কিন্তু হরতাল-অবরোধ দিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

সমাবেশে মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না এসে বিএনপি নেত্রী আম ও ছালা দুটোই হারিয়েছেন। ২০১৯ সালে নির্বাচনে না এলে তিনি আম- ছালাসহ গাছও হারাবেন।’

খাদ্যমন্ত্রী ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি এখন জামায়াতো পেটে ঢুকে গেছে। তাদের (বিএনপি) অস্তিত্ব আজ বিলীন হওয়ার পথে।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, আহমদ হোসেন, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই