মাদক-সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন ও শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবীতে শিক্ষাধারা’র সমাবেশে বক্তারা
ষোল কোটি মানুষের টুটি চেপে ধরার চেষ্টা চলছে
জাতীয় শিক্ষাধারা’র আয়োজনে ৬ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভূয়া ডিজিটাল ভর্তি কার্যক্রম ও মাদকদ্রব্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংশের ষড়যন্ত্র বন্ধ-শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবীতে সমাবেশ-মানববন্ধন ও শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুত্তুলিকা দাহ’ কর্মসূচীতে বক্তারা বলেছেন, নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদেরকে কৌশলে ধ্বংশ করে দেয়ার জন্য বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে; আর সেই ষড়যন্ত্রকে বাস্তবায়ন করতে তৈরি হচ্ছে ছাত্র শিবির-জামায়াত এবং বর্তমান সরকারের বেশ কিছু নেতাকর্মী। তাছাড়া স্মার্ট এডমিশন সিস্টেম এখন স্মার্ট ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি ধারাবাহিকতায় আমাদের শিক্ষাঙ্গনকে গড়ে তোলা হচ্ছে সন্ত্রাসের স্বর্গ রাজত্ব হিসেবে; বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ‘মাদকাঙ্গন’ এবং ভর্তি পক্রিয়াকে করা হচ্ছে সমস্যার আতুড়ঘর। কিন্তু এভাবে বাংলাদেশকে-বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে ধ্বংশ হতে দেয়া যাবে না। আর তাই জাতীয় শিক্ষাধারা’র প্রতিটি নেতাকমী কে কোন না কোনভাবে বাংলাদেশকে ভালোবেসে এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয় শিক্ষাধারা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. সাকিল আল মামুনের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় শিক্ষাধারা’র উপদেষ্টা ও নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি’র চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী। বক্তব্য রাখবেন নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাবিব খোকন, যুগ্ম মহাসচিব এড. নীহার মোশারফ ও শেখ রওশন আরা লিজা।
বক্তারা এসময় আরো বলেন, নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকগণ শিক্ষাঙ্গণকে কোনভাবেই সন্ত্রাস-মাদক আর দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্য বানাতে দেবে না। আর তাই আমরা মনে করি শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ প্রয়োজন, প্রয়োজন শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান ও সচিব-এর পদত্যাগ। যাতে করে অন্যায় আর দানাবাঁধতে না পারে আমাদের শিক্ষাঙ্গণে।
অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষাধারা’র সমাবেশে ও মানববন্ধনের পর শিক্ষামন্ত্রীর কূশপুত্তুলিকা দাহ করতে গেলে জাতীয় শিক্ষাধারা’র নেতৃবৃন্দকে বাঁধাগ্রস্থ করে পুলিশ। এসময় নেতৃবৃন্দের সাথে পুলিশ-প্রশাসনের দস্তাদস্তিরও ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য চালু নেই