শেষমেশ নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হলেন গর্ভবতী মুসলিম মহিলা

দুই কন্যাসন্তানের জননী তিনি। তৃতীয়বার গর্ভবতী হওয়ামাত্রই পেলেন তিন তালাক। কেননা তার স্বামী আর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা চান না যে, তিনি আবার কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। উপায় না দেখে শেষমেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন এক মুসলিম মহিলা।

জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের স্মরনপুরের শওগুপ্তা শাহ নামে ওই মহিলার উপর রীতিমতো অত্যাচার চালিয়েছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। তাদের দাবি ছিল, গর্ভপাত করান ওই মহিলা। কিন্তু কোনওভাবেই সন্তান নষ্ট করতে চাননি তিনি। গত ২৪ মার্চ তাকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও প্রতিরোধ করেন তিনি। তখন বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতেও গর্ভপাত না করানোর সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন মহিলা। তখনই তাকে তিন তালাক দেওয়া হয়।

তিন তালাকের বিরুদ্ধে সরব হতেই চেয়েছিলেন ওই মহিলা। ঘটনার অভিযোগ জানাতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। তার অভিযোগ নেওয়াও হয়। কিন্তু কোনও এফআইআর করা হয় না। শেষমেশ খোদ প্রধানমন্ত্রীকেই চিঠি লিখে পুরো বিষয়টি জানান তিনি। তিনি ও তার মতো অত্যাচারিতদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানান।

ইন্দোনেশিয়ার মতো মুসলিমপ্রধান দেশে তিন তালাক বাতিল হয়েছে। কিন্তু ভারতে এখনও তা বলব। সম্প্রতি এই প্রথা রদের আবেদন জানায় মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ। যদিও সুপ্রিম কোর্টে মুসলিম ল বোর্ড তিন তালাক রাখার পক্ষেই সওয়াল করেছে। পবিত্র কোরানের নির্দেশ বলেই তা বাতিল না করার আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু ভারতের লক্ষ লক্ষ মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এই প্রথা তুলে দেওয়ারই আবেদন জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই