শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে শৈত প্রবাহে জন-জীবন বির্পযস্ত
গত ৩/৪দিন পূর্বের গুড়িগুড়ি কয়েক ফোটা বৃষ্টি পড়ার ফলে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলা সহ পাহাড়ী এলাকায় প্রচন্ড শীত জেঁকে বসেছে । কণকণে হিমেল হাওয়া আর প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে দেখা দিয়েছে,আমাশা, ডায়রিয়া, ঠান্ডা ও পানি বাহিত রোগ সহ বিভিন্ন রোগের প্রার্দূভাব। এতে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশী । গরু, মহিষ ও ছাগলেরও প্রচন্ড শীতের কারণে তাদেরকে নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন বেকায়দায়। ফলে গরীব,দুঃখী ও ছিন্নমূল মানুষেরা অতি কষ্টে দিনাপাত করছে।
কনকনে হাড়-কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে ভোর বেলায় কাজের সন্ধানে বেরিয়ে যায় গরীব মানুষগুলো। চলতি বোর ফসলের মাঠ পরিস্কার পরিছন্নতা ও বোর চারা রোপনের কাজ শুরু হয়েছে পুরোদমে। প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে কৃষকরা সকাল থেকেই ফসলের মাঠে কাজ করেন। পরিবার পরিজনরা শীতের কাঁপুনীতে আগুনের তাঁপ নিচ্ছে,পাশাপাশি খড় দিয়ে রান্না বান্ন্যার কাজও করছেন মহিলারা। হাট-বাজারেও শীত থেকে বাঁচার তাগিদে সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ধ্যার পরপরই আগুনের তাঁ নিতে দেখা যায়।
প্রচন্ড শীতে গরীব ও ছিন্নমূল মানুষের দুঃখের শেষ নেই,গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছেনা। পুরাতন কাপড়ের দোকানে কমদামের শীত বস্ত্র ক্রয় করতে গরীব মানুষের উপচে পরা ভীড় লক্ষ্য করা যায় । পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষেরা ঘনকুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও শীতের মধ্যে অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম রেজা এ প্রতিনিধিকে জানান, ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রনালয় হতে প্রাপ্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এ বছর ১ম দফায় ৫৮৭টি, দ্বিতীয় দফায় ৪৮৩টি ও তৃতীয় দফায় ১২০০টি শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা ছিন্নমূল ও শীতার্থ মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য বেসরকারী সংগঠন, ধর্নাঢ্য ও দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
মন্তব্য চালু নেই