শাহবাগ যেন এক মিনি স্টেডিয়াম
ক্রীড়াপ্রেমীদের ওপর এশিয়া কাপের ফাইনালের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলার টাইগারদের ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই। সর্বত্র চলে ফাইনাল খেলা দেখা নিয়ে প্রস্তুতি। প্রিয় দলের খেলা স্টেডিয়ামে বসে উপভোগ করার জন্য টিকিট নামক সোনার হরিণটির দেখা মিলেনি হাজার হাজার বাংলার ক্রিকেটভক্তদের। মিরপুরে বসে খেলা দেখার টিকেট পায় নাই তাতে কি, শাহবাগ এর জাতীয় জাদুঘরের সামনে বড় পর্দায় জমায়েত হয়ে হাজার হাজার মানুষের খেলা দেখে যেন বুঝার উপায় নেই এটি সত্যিই স্টেডিয়াম নাকি মিনি স্টেডিয়াম।
রবিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে ক্রীড়াপ্রেমীরা জড়ো হলেও হঠাৎ করে বৃষ্টির কারণে সবাই দিকবিদিক ছুটে যান। কিন্তু বৃষ্টি শেষ হওয়ার সাথে সাথে আবারো জড়ো হন বাংলাদেশ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ক্রীড়াপাগল সর্বস্তরের মানুষ।
শাহবাগের মোড় থেকে টিএসসি পর্যন্ত মানুষের তিল ধারণের জায়গা নেই। সর্বত্র কানায় কানায় পরিপূর্ণ। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রাস্তার একদিকের যান চলাচল। সবাই উপভোগ করছেন প্রিয় দলের খেলা।
প্রিয় দলের খেলা দেখতে অনেকে এসেছেন জাতীয় পতাকা হাতে, আবার অনেকে প্রিয় দলের জার্সি গায়ে। বরাবরের মতো অনেকের হাতে দেখা গেল বাঁশি, ভুভুজেলা। তাদের বাঁশির শব্দে শাহবাগ প্রকম্পিত হচ্ছে। আশা একটাই প্রিয় দল চ্যাম্পিয়ন হোক।
শাহবাগে বন্ধুর সঙ্গে খেলা দেখতে আসা তাহমিনা নাসরিন বলেন, ‘আগে থেকে প্ল্যান ছিল বাংলাদেশের ফাইনাল খেলাটা স্টেডিয়ামে বসে দেখব। কিন্তু টিকেট পাইনি। তাই এখানে বড় পর্দায় খেলা দেখতে চলে এসেছি।’
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চলে এসেছেন শাহবাগে। এশিয়া কাপ উপলক্ষে ক্যাম্পাসের সাতটি পয়েন্টে নেসক্যাফে এর উদ্যোগে বড় পর্দায় খেলা দেখানো হলেও বৃষ্টির কারণে তিনটি পয়েন্টে খেলা দেখাচ্ছেন তারা। ক্যাম্পাসের টিএসসি, চারুকলা অনুষদ এবং ডাকসুর সামনে জায়ান্ট স্ক্রিন বসিয়েছেন তারা।
হলের টিভি রুমে প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে শাহবাগে খেলা দেখতে আসা সূর্যসেন হলের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেন, ‘হলের টিভি রুমের চেয়ে শাহবাগের এই জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখে অন্যরকম অনুভূতি পাচ্ছি। এতগুলো মানুষের সাথে একসঙ্গে খেলা দেখে মনে হচ্ছে- যেন স্টেডিয়ামে বসেই খেলা দেখছি।
মন্তব্য চালু নেই