শান্তির নোবেল মনোনয়ন দৌড়ে আছেন ট্রাম্পও

চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে রেকর্ড সংখ্যক সর্বোচ্চ ৩১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম মনোনয়ন তালিকায় জমা পড়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প; যিনি গত বছরও মনোনয়ন তালিকায় ছিলেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। এছাড়া খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস, উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা এডওয়ার্ড স্নোডেনসহ অারো অনেকে রয়েছেন। নোবেল ইনস্টিটিউট এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

গত ৫০ বছর ধরে শান্তির নোবেল মনোনয়ন তালিকায় উঠে আসা নাম গোপন রাখার নিয়ম রয়েছে। তবে যারা সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, সাবেক নোবেল বিজয়ী ও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের নাম প্রস্তাব করেন; তারা চাইলে সেসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করতে পারেন।

এ বছরের শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তির মনোনয়ন দৌড়ে আরও রয়েছে, সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হোয়াইট হেলমেটস। সিরিয়ার দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের শিকার মানুষের সহায়তায় নানাভাবে কাজ করছে এ সংগঠনটি। গত বছরও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য সিরিয়ার এই সংগঠন এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা আর পাওয়া হয়নি।

এছাড়া নোবেলের মনোনয়ন তালিকায় আরও রয়েছেন সৌদি আরবের কারাবন্দী ব্লগার রাইফ বাদাওয়ি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি ফাঁস করে হইচই ফেলানো সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা এডওয়ার্ড স্নোডেন।

গত বছরও শান্তির নোবেল পুরস্কার মনোনয়ন তালিকায় নাম উঠেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। চলতি বছরে নোবেল শান্তির মনোনয়ন তালিকায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ট্রাম্পের নাম পাঠিয়েছেন নোবেল কমিটির কাছে। ওই ব্যক্তি বলেছেন, শক্তিশালী মতাদর্শের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন ট্রাম্প; যে কারণে তাকে শান্তির নোবেল পুরস্কার দেয়ার জন্য তিনি মার্কিন এই প্রেসিডেন্টের নাম পাঠিয়েছেন তিনি।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠনও নোবেল মনোনয়ন তালিকায় রয়েছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এই সংগঠনটি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

নোবেল ইনস্টিটিউট বলছে, চলতি বছর ২১৫ ব্যক্তি ও ১০৩ প্রতিষ্ঠান শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়াল স্যান্টোস; যিনি দেশটিতে অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটান।

সূত্র : ইকোনমিকস টাইমস।



মন্তব্য চালু নেই