শাওনের খোঁজে গুলশানে মা
মোবাইলে নিজের ছেলের ছবিটি বের করে গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টের বাইরের সড়কে চোখের জল ফেলছেন মো. শাওন নামে এক যুবকের মা মাসুদা বেগম। ছেলে শাওন ওই রেস্টুরেন্টে সেফের (বাবুর্চি) সহকারী হিসেবে কাজ করতো বলে দাবি করেন মাসুদা।
গত দুদিন নিজের ছেলের খবর না পেয়ে রোববার সন্ধ্যার দিকে গুলশানে আসেন তিনি। ব্যারিকেডের কারণে ভেতরে ঢুকতে না পেরে মোবাইল উঁচু করে সবাইকে ছেলের ছবিটি দেখাচ্ছেন।
মাসুদা বেগম বলেন, ‘গত শুক্রবার রাত ৮টায় শেষবারের মতো ফোন দিয়ে শাওন জানায় সে বোনাসের টাকা পেয়েছে। রোববার কাজ করে বাড়ি ফিরবে। তবে এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।’
এর আগে শুক্রবার রাতে কয়েকজন বন্দুকধারী গুলশানের আর্টিসান রেস্টুরেন্টে ২০ জনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ৬ বন্দুকধারী নিহত হয়।
মাসুদা বেগম বলেন, ‘শাওন আমার বড় ছেলে। আমার ছোট ছেলে আবদুল্লাহ এই রেস্টুরেন্টের মালিক সাদাত মেহেদীর বাড়িতে কাজ করতো। ছোট ছেলের অনুরোধেই সে (মেহেদী) শাওনকে এই রেস্টুরেন্টে কাজ দেয়।’
শাওনের ছোট ভাই আবদুল্লাহ জানান, আমি কয়েকদিন আগেও রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছি।
শাওনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আদমজী। তারা তিন ভাই ও এক বোন।
বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, গুলশানে রেস্টুরেন্টে নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজনের সঙ্গে শাওনের ছবির মিল রয়েছে। তবে শাওন নামে কেউ মারা যায়নি বলে দাবি করছে পুলিশ।
মন্তব্য চালু নেই