লোকসভার বিরোধী দলনেতা পদ পাওয়ার হক আছে কংগ্রেসের, দাবি সনিয়ার
দিলীপ মজুমদার (কলকাতা): কংগ্রেসের লোকসভার বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়ার দাবিতে জোর সওয়াল করলেন সনিয়া গাঁধী।কংগ্রেসের এই পদ পাওয়ার হক আছে বলে দাবি করে তিনি আজ সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা বিরোধী বেঞ্চের একক বৃহত্তম দল প্রাক-নির্বাচনী আঁতাতও আছে আমাদের।ওই পদ আমাদের প্রাপ্য সংসদের নিম্নকক্ষে কংগ্রেসের সদস্যসংখ্যা ৪৪।লোকসভার দ্বিতীয় বৃহত্তম দল তারা।কিন্তু বিজেপির দাবি, সংসদীয় নিয়ম অনুসারে ৫৪৫ সদস্যবিশিষ্ট সভার বিরোধী দলনেতার পদ পেতে গেলে মোট সদস্যসংখ্যার ১০ শতাংশ অর্থাত এক্ষেত্রে ৫৫ জন এমপি থাকা জরুরি।যা কংগ্রেসের নেই।তাদের ১০জন এমপি কম।পড়ছে।তাই তারা বিরোধী দলনেতার পদ পেতে পারে না।
বিজেপির এহেন যুক্তির মুখেই আজ মনোভাব কঠোর করতে দেখা গেল কংগ্রেস সভানেত্রীকে।সরকার দাবি মানতে নারাজ হলে কী করবেন তাঁরা? সনিয়ার সংক্ষিপ্ত জবাব, দেখা যাক! বিরোধী দলনেতার মর্যাদা না পেলে কংগ্রেস আদালতে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করবে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্র আগেই জানিয়েছিল
কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা পদ দাবির বিষয়টি লোকসভা স্পিকারের বিবেচনাধীন, বিজেপির এই অবস্থানের বিরোধিতা করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা কমলনাথ বলেছেন, স্পিকারের বিবেচনাধীন, কথাটা কংগ্রেসকে বিরেধী দলনেতা পদটি না দেওয়ার অজুহাত মাত্র।দুদশক আগের থেকে আজকের সংসদ অনেক আলাদা।আজ রাজনীতি অনেক বদলে গিয়েছে।সংসদীয় রীতিনীতিও এখন ভিন্ন।স্পিকারের নির্দেশ বলে যে যুক্তি বিজেপি দেখাচ্ছে, সেটা কংগ্রেসকে বিরোধী দলনেতা পদ না দেওয়ার যথেষ্ট কারণ হতে পারে না।আমি বুঝতে পারছি না, বিজেপির ভয় কীসে?। এটা নিছকই একটা পদ ওদের এতে রাজি হওয়া উচিত।এমন কোনও আইনই নেই যে বিরোধী দলনেতার পদ পেতে হলে লোকসভার ১০ শতাংশ আসন থাকতেই হবে।কংগ্রেসকে বিরোধী দলনেতার পদ দেওয়ার দাবি নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তে বিজেপি প্রভাব খাটাতে পারে, কমলনাথের এই মন্তব্যকে আবার ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়েছেন সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী এম বেঙ্কাইয়া নাইডু।তিনি বলেছেন, উনি নিশ্চয়ই নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এমন কথা বলে থাকতে পারেন।কিন্তু বিরোধী দলনেতা পদ দেওয়া নিয়ে রুলবুকে যা বলা আছে এবং অতীতের নজির, সব খতিয়ে দেখেই স্পিকার বিবেচনা করবেন একবার নির্বাচিত হওয়ার পর স্পিকার কিন্তু দলের ঊর্ধ্বে চলে যান!
মন্তব্য চালু নেই