লিচুর থোকায় স্বপ্ন বোনা

রাজশাহী : আর এক সপ্তাহ পর নগরীজুড়ে দোকানপাটে শোভা পাবে থোকা থোকা সুমিষ্ট লিচু ফল। এর মধ্যে নগরীসহ আশেপাশের এলাকায় লিচু ফল খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠতে শুরু করেছে। এই থোকা থোকা ফলেই স্বপ্ন বুনছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কৃষকরা।

এর মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাখিদের হাত থেকে বাঁচাতে পাকা ফলগুলো জাল দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন লিচু চাষীরা। তবে বেশ কয়েকবার কালবৈশাখীর তা-বে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফল গবেষণা কেন্দ্র থেকে জানা যায়, এবার রাজশাহীর স্থানীয় যে লিচু যা ফল গবেষণা কেন্দ্রে বারি লিচু-১ নামে পরিচিত, তা খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু বোম্বাই লিচু ও চায়না লিচু খুব একটা ভালো হয় নি। বেশিরভাগ বাগানে ফুলই আসে নি। ফল গবেষণা কেন্দ্রে ১১০টি লিচু গাছ আছে। দেশি লিচুর গাছগুলোতে ভালো ফল এসেছে। কিন্তু বোম্বাই ও চায়না লিচুতে খুব একটা ভালো ফল আসে নি।

ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলীম উদ্দীন বলেন, মাঝে মাঝে এরকম হয়। এটার লিচুর জাতের বৈশিষ্ট্য। কখনো কোনো গাছে ফল ভালো আসে। কখনো আসে না। আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোনো সমস্যা না। বরঞ্চ এবারের আবহাওয়া আম ও লিচুর জন্য খুব ভালো। ঝড়ে শুধু কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।

শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জাতীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় ১০০টির বেশি লিচু গাছ আছে। এর মধ্যে প্রায় সব গাছে লিচু ধরেছে। গতকাল উদ্যানের কর্মীদের দেখা যায়, লিচু গাছগুলো জাল দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। তারা জানান, প্রধানত পাখিদের থেকে বাঁচানোর জন্যই জাল দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন।

নগরীর ছোটবনগ্রাম, খড়খড়ি বাইপাস, হড়গ্রাম, রায়পাড়াসহ আশেপাশের এলাকায় অনেক লিচু চাষ করা হয়েছে। এছাড়া চারঘাটের চরাঞ্চলে ও নাটোরের লালপুরে ভালো লিচু চাষ করা হয়। ছোট বনগ্রাম এলাকার লিচু চাষী রইস উদ্দিন বলেন, আমার ৫ বিঘা জমিতে লিচু আসে। ভালো ফলন হয়েছে। ঝড়ে অবশ্য কিছু গাছের ডাল ভেঙে গেছে। কয়েকটা উপড়ে গেছে।’ এখন এই গাছগুলো নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন এই চাষী।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক হযরত আলী বলেন, এখন পর্যন্ত লিচুর অবস্থা ভালো। লিচু পাকার সময় যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে ফলন ভালো হবে।’ তিনি আশা করছেন কৃষকরা লাভবান হবেন।



মন্তব্য চালু নেই