নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ

পদে ১৭৯ জন নির্বাচিত প্রার্থীর গেজেট হলেও ঢাকা দক্ষিণের তিন সাধারণ কাউন্সিলর বাদ পড়ছেন।

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

“ফলাফল পেয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের পর রাতেই গেজেট প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। তবে ঢাকা দক্ষিণের তিনটি কেন্দ্র স্থগিত থাকায় পুনঃভোট করতে হবে।”

ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রকাশিত গেজেট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় শপথের ব্যবস্থা নেবে।

মেয়রদের শপথ করাবেন প্রধানমন্ত্রী। কাউন্সিলরদের শপথ করাবেন বিভাগীয় কমিশনার।

ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে বিএনপির বর্জনের মধ্যে গত মঙ্গলবার তিন সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে বুধবার ভোরে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ভোটের আয়োজন করতে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের দাবির মধ্যে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করল।

তবে ভোট নিয়ে সংক্ষুব্ধদের কমিশনে আবেদন না করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার পরামর্শ দেন ইসি সচিব। চাইলে আদালতেও তারা যেতে পারেন।

ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে আনিসুল হক, ৩৬ সাধারণ কাউন্সিলর ও ১২ সংরক্ষিত কাউন্সিলর; দক্ষিণে মেয়র সাঈদ খোকন, ৫৪ সাধারণ কাউন্সিলর (৮, ৩৪ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড বাদে) এবং চট্টগ্রামে মেয়র পদে আ জ ম নাছির উদ্দিন, ৪১ সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪ সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচিতদের গেজেট হচ্ছে।

গোলযোগের পর ঢাকা দক্ষিণের তিনটি ওয়ার্ডের তিনটি কেন্দ্র বংশালের সুরিটোলা, আশরাফ উদ্দিন বিদ্যালয় ও কমলাপুর স্কুল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। এসব কেন্দ্রে কাউন্সিলরদের মধ্যে আবার ভোট হবে।

গেজেট প্রকাশের আগে বৃহস্পতিবার বিকালে তিন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম, মিহির সারওয়ার মোর্শেদ ও আব্দুল বাতেনের সঙ্গে বসেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

এরপর সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করেন সিইসি। বাসা থেকে তিন নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ তখন কমিশনে ফিরে এসেছিলেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আপিলে মনোনয়নপত্র বাতিলের পরও কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী আদালতের আদেশে ভোটে অংশ নেন। তাদের মধ্যে সাতজন নির্বাচিতও হয়েছে।

কমিশন নির্বাচিত এসব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান কমিশন সচিব।

ইসি কর্মকর্তারা বলেন, নির্বাচিতদের বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় তাদের গেজেট প্রকাশের বিপক্ষে মত দেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক।

“তিনি বলেন, গেজেট হয়ে গেলেও আপিলের পরবর্তী সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিল হলে তাদের গেজেটও বাতিল হতে হবে। নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলীও একই মত দেন।”

তবে সিইসি ও অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার গেজেট প্রকাশের পক্ষে মত দেওয়ার পরই ১৭৯ নির্বাচিত প্রার্থীর গেজেট করে বিজি প্রেসে পাঠানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই