‘লস্ট লেক’ এর রহস্যময় হারিয়ে যাওয়া

কানাডায় অরেগনের হাইওয়েতে “লস্ট লেক” নামের একটি হ্রদ রয়েছে। এই হ্রদটির গোপন রহস্য রয়েছে। সারা বছর এই হ্রদে স্বাভাবিকভাবেই পানি থাকে। কিন্তু, শীতকাল আসলেই এর চেহারার বদলি শুরু হয়। শীতকালে হ্রদের মাঝে একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। যা দিয়ে হ্রদের সব পানি বের হয়ে যায়। হ্রদের পানি ওই গর্ত দিয়ে যেতে থাকে, যার ফলে ওই হ্রদের স্থানে শুকনো জমির সৃষ্টি হয়। শতকের পর শতক ধরে বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে গবেষণা করেও কোন উত্তর খুঁজে পায় নি।

জাতীয় বনের মুখপাত্র জিহুদা হিউ বুলেটিনকে জানান, গর্তটি সেখানে কিছু দিনের জন্য থাকে, সেই গর্তের মাঝে পানি হারিয়ে যায়। এটি পানি হারিয়ে যাবার সহজ ব্যাখ্যা।

ভূতাত্ত্বিকদের মতে, হ্রদের পানি সেই গর্তে পরে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হবার কারনে সেখানে শুকনো জমির সৃষ্টি হয়। তারা মনে করেন, পৃথিবী পৃষ্ঠে যে লাভা নির্গত হয়, তা সেখানে গর্তের সৃষ্টি করে এবং সেই গর্ত দিয়ে পানি লাভাতে নির্গত হয়। যখন অগ্ন্যুৎপাত শীতল হতে থাকে, তখন সুবিশাল টানেল এ পানি যেতে থাকে।

বুলেটিন এর মতে, লস্ট লেক থেকে কিছু মাইল দূরে ইউ.এস. হাইওয়ে ২০ এবং স্টেট হাইওয়ে এর মোড়ের কাছাকাছি একটি মাছ লেক রয়েছে। যেখানে লস্ট লেকের মত কিছু লাভা টিউব ড্রেন রয়েছে। কিন্তু, গবেষকেরা এ বিষয় নিয়ে চিন্তিত যে, সব পানি কোথায় চলে যাচ্ছে।

হিউ বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি একুইফার করার জন্য এসব পানি ভূগর্ভে চলে যেতে পারে। যাই হোক, এ ব্যাপারে কখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
এখন, আবার স্থানীয়রা হ্রদের মধ্যে গাড়ির যন্ত্রাংশ, ইঞ্জিন এবং ধ্বংসাবশেষ এর মত কিছু অদ্ভুদ জিনিসও মাঝে মাঝে পেয়ে থাকেন। হিউ মনে করছেন, এসব জিনিস দিয়ে ওই গর্তকে বন্ধ করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু, এর ফলে ওই এলাকায় বন্যা হতে পারে।

তিনি বলেন, “কেউ যদি কোনদিন এই গর্ত বন্ধ করতে পারেন তাহলে এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে নদী প্লাবিত হবে এবং রাস্তা তলিয়ে যাবে। রাস্তা কীভাবে পরিকল্পনা হয়েছে তা এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ”।

বিজ্ঞানীরা গর্তের নীচে একটি টানেলের সন্ধান পেয়েছেন, যেখানে পানিগুলো প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু, টানেলের মধ্য দিয়ে পানি কোথায় যাচ্ছে, তা এখনও রহস্যময় হয়ে আছে।

সূত্র: ডেইলি মেইল।



মন্তব্য চালু নেই