লম্বা স্কার্ট পরায় ফ্রান্সে এক মুসলিম ছাত্রী বহিষ্কার
লম্বা কালো স্কার্ট পরায় ফ্রান্সে এক মুসলিম ছাত্রীকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির মুসলিম সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রীটির নাম সারাহ বলে জানা গেছে। তার বয়স ১৫ বছর।
ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চার্লভিল-মেজিয়েজ শহরের একটি স্কুলের প্রধানশিক্ষক মুসলিম ছাত্রী সারাহ’কে ক্লাসে ঢুকতে দেননি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার পোশাক মাত্রাতিরিক্ত ধর্মীয়।
কালো লম্বা স্কার্ট পরিধান করলে তাতে ‘লক্ষ্যণীয়ভাবে’ একটি নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ পাবে বলে ওই প্রধান শিক্ষক তাকে ক্লাসে ঢুকতে দেননি। ফ্রান্সের তথাকথিত সেক্যুলার আইনে স্কুল-কলেজে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
শহরটির শিক্ষা কর্মকর্তা প্যাট্রিস ডুটোট দাবি করেছেন, ছাত্রীটিকে বহিষ্কার করা হয়নি বরং তাকে এমন পোশাক পরে আসতে বলা হয়েছে যাতে কোনো ধর্মীয় লক্ষণ প্রকাশ না পায়। কিন্তু পরে তার বাবা তাকে আর স্কুলে আসতে দেননি।
আঞ্চলিক শিক্ষা অফিস স্কুল কর্তৃপক্ষের অবস্থান সমর্থন করেছে। এতে বলা হয়, এই ঘটনার আগে ছাত্রীটি স্কুলে প্রবেশের আগে তার হিজাব খুলে নিত।
১৫ বছর বয়সি ছাত্রী সারাহ স্থানীয় দৈনিক লারদানেইস’কে জানিয়েছে, তার স্কার্টটিতে বিশেষ কোনো প্রতীক ফুটে ওঠেনি। কোনো ধর্মীয় চিহ্ণ লক্ষণীয়ভাবে ফুটে ওঠার তো প্রশ্নই ওঠে না।
ফ্রান্সের ইসলাম-আতঙ্ক বিরোধী কমিটি জানিয়েছে, গত বছর দেশটির ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে কথিত ধর্মীয় পোশাক পরিধানের জন্য স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই