লন্ডনে ৩ মাস বয়সী ‘সন্ত্রাসী’কে দূতাবাসে তলব!
বেড়াতে যেতে ভিসা আবেদনকারী হার্ভের বয়স সবেমাত্র তিন মাস। কিন্তু ফরমের সন্ত্রাসী লেখা জায়গায় দেয়া আছে টিক চিহ্ন। এতেই রীতিমত ঘাবড়ে যায় লন্ডনের মার্কিন দূতাবাস। ভিসা আবেদন বাতিলই নয়, কেন আমেরিকায় যাবে, তা জানতে ডাকা হয় দূতাবাস অফিসে। কি আর করা মায়ের কোলে চড়ে হার্ভে নিজের চাঁদমুখ দেখিয়ে এলো দূতাবাস কর্মীদের।
এরকম ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে আন্তর্জাতিক এক সংবাদ মাধ্যম।
মা ও দাদার সঙ্গে প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় যাবে তিন মাস বয়সী হার্ভে। ভিসার জন্য হার্ভের আবেদন ফর্মটিও পূরণ করা হলো। কিন্তু বিপত্তি বাঁধালেন তার দাদা পল কেনিয়ন। ফর্মে ভুল করে সন্ত্রাসী হিসেবে শনাক্ত করে ফেলেন তিনি। আর দাদার সেই ভুলকে সত্যি ভেবে বসল মার্কিন দূতাবাস।
ভিসার আবেদন ফর্মেরে একটি প্রশ্ন ছিল এরকম, কখনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল কি-না? উত্তরের ঘরে টিক চিহ্ণ দিতে গিয়ে ভুল করেন দাদা। না এর জায়গায় হ্যাঁ তে টিক দিলেন তিনি। আর তাতে চোখ আটকে গেল লন্ডনস্থ মার্কিন দূতাবাসের। শিশুটির বয়স বিবেচনা না করে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করা হলো। তাকে ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হলো না। কেবল তাই নয়, দূতাবাসে তাকে সাক্ষাতের জন্যও ডাকা হলো।
নাতিকে ভ্রমণের অনুমতি না দেয়ার পরই দাদা জানতে পারেন মূল ঘটনা। একে খুব সাধারণ ভুল উল্লেখ করে মার্কিন দূতাবাসের আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান তিনি। পল কেনিয়ন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, এটি যে একটি সাধারণ ভুল ছিল তা তারা দেখতে পায়নি। তাদের কাণ্ডজ্ঞাণ দেখে আমি অবাক। এই বিষয়টি তারা বুজতে পারলো না। তিন মাসের শিশু কি কারো ক্ষতি করতে পারে, তা তাদের বুঝা উচিত ছিল।’
দাদা পল কেনিয়ন জানান, সে তো কথাই বলতে পারে না, কি সাক্ষাৎকার দিবে। ভিসা জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত নাতিকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেননি পল কেনিয়ন।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, দূতাবাসে সাক্ষাত দেয়ার জন্য দশ ঘণ্টার জার্নি করতে হয়েছে মা, শিশু ও দাদাকে। দূতাবাস কর্মীদের কারণে শিশুটির পরিবারকে অতিরিক্ত ৩ হাজার পাউন্ড খরচ করতে হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ে স্ত্রী ক্যাথি ও নাতনি আভাকে নিয়ে রওনা করতে হয়েছে দাদা পল কেনিয়নের। আর কয়েকদিন পর বাবা-মায়ের সঙ্গে আলাদাভাবে যেতে হয়েছে হার্ভেকে।
মন্তব্য চালু নেই