লজ্জার দেয়ালে ধনী-গরিবের এলাকা ভাগ!
১০ ফুট উঁচু ইট-সিমেন্টের দেয়াল। তার ওপরে কাঁটাতার। এ পারের মানুষ যাতে ওপারে যেতে না পারে সেজন্যই এ কঠোর প্রতিবন্ধক। কারণ এক পাশে বসবাস গরিব মানুষদের, অন্যপাশে ধনীদের। বিত্তশালীদের কোনোকিছু যাতে চুরি না হয়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা!
ঘটনাটি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর। সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, একে পেরুর বার্লিন দেয়ালও বলা হয়। কিন্তু আরেকটি নাম আছে- ‘লজ্জার দেয়াল।’
ধনী ও দরিদ্র আলাদা করার জন্য রাজধানী পেরুর কাছাকাছি ওই দেয়ালটির একপাশে অর্থাৎ সারকোতে দরিদ্রদের অবস্থান, অন্যদিকে সান হুয়ান ডি মিরাফ্লোরস। এখানকার বাসিন্দারা অবস্থাপন্ন। দরিদ্র মানুষরা ধনীদের এলাকায় ঢুকে চুরি করতে পারে ওই ভয়ে একসময় দেয়ালটি নির্মাণ করা হয়।
মানবাধিকারকর্মীরা ওই দেয়ালকেই এখন বলছেন ‘লজ্জার দেয়াল’। ড্রোনের মাধ্যমে দেয়ালের দুই পাশে কিছু বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে লেখা হয়েছে, ভাঙা ছাদের কাঠের ঘরগুলোতে মোমের আলো জ্বলে। এর কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই আছে দামি দামি সব ভবনের মেলা।
দেয়ালটিকে লজ্জার দেয়াল বলে ডাকছে মানবাধিকারকর্মীরা। সম্প্রতি একাধিক মানবাধিকার সংগঠন দেয়ালটির পাশের বাসিন্দা দরিদ্র শিশুদের সমবেত করে। শিশুরা ওই দেয়ালে এঁকেছে। এঁকেছে নিজেদের কল্পনার জগৎ।
মন্তব্য চালু নেই