লক্ষ্যবস্তু যেদিকে গুলি যাবে সেদিকে

পেন্টাগন তার সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ স্নাইপারদের জন্য এক অত্যাধুনিক গুলি তৈরি করেছে। নতুন এই গুলি বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি। এখন থেকে স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপনাস্ত্রের মতো নতুন অবিস্কৃত এই গুলিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যভেদ করতে পারবে।

যুদ্ধক্ষেত্রে লক্ষ্যভেদ বিষয়টি যে খুব জরুরী তা সম্প্রতি ইসরায়েলের গাজায় হামলা দেখেই বোঝা যায়। গাজায় নির্ভূল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১৬০ জন মানুষ হত্যা করেছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের হামাসের ছোড়া একটা রকেটও ইসরায়েলের ঘাটিতে আগাত হানতে পারেনি। এর কারণ অবশ্য ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির সহায়তায় হামাসের ছোড়া রকেটগুলো আকাশে থাকা অবস্থাতেই ধ্বংস করে দিতে পারছে ইসরায়েল।

হামাসের ছোড়া রকেট ইসরায়েলের ভূখন্ডে আঘাত না হানার আরও একটা কারণ আছে অবশ্য। হামাস যে রকেটগুলো ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে ছুড়ছে তার একটিও স্বয়ংক্রিয় নয়। ঠিক এখানেই সূচনা পেন্টাগনের নতুন গুলির। চলতি বছরের গোড়ার দিকে স্বয়ংক্রিয় গুলি তৈরিতে সফল হয় পেন্টাগন। পয়েন্ট ৫০ ক্যালিবারের গুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হয়।

পেন্টাগনের ডিফেন্স অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি জানায়, ‘এক্সাক্টো নামের এই গুলিকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে অপটিকাল গাইডেন্স সিস্টেম। এই সিস্টেমের মাধ্যমে এক্সাক্টো স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তুকে তাড়া করতে পারবে।’

২০০৮ সালের গোড়ার দিকে মূলত এই গোপন প্রকল্পটি শুরু করা হয়। নতুন আবিস্কৃত এই গুলি যেন নিখুতভাবে এবং দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে গবেষণাটি চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত এম১০৭ স্নাইপার রাইফেল এযাবৎ আবিস্কৃত সবচেয়ে নিখুত স্নাইপার রাইফেল। এই রাইফেলকে কিছুটা পরিবর্তন করে নতুন গুলির জন্য উপযোগি করে তোলা হচ্ছে। রাইফেলটির সঙ্গে আছে একটি ট্রাইপড, টেলিস্কোপ এবং স্লাইড রুল।



মন্তব্য চালু নেই