র‌্যাব-২ অধিনায়ক মাসুদ রানা প্রত্যাহার

র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম মাসুদ রানাকে ব্যাটালিয়ন থেকে প্রত্যাহার করে র‌্যাব সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কিশোর রাজা মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগ সভাপতি আরজু মিয়া গত ১৭ আগস্ট রাতে তথাকথিত ক্রসফায়ারে নিহত হয়। এ ঘটনায় আরজু মিয়াকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে র‌্যাব-২ এর অধিনায়কসহ চারজনের বিরুদ্ধে রবিবার মামলার আবেদনের পরদিনই এস এম মাসুদ রানাকে বদলি করা হলো।

মামলার আবেদনের বাদীর নামও মাসুদ রানা।

ঢাকা মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের আদালতে রবিবার আরজু মিয়ার বড় ভাই মাসুদ রানা ওই আবেদনটি করেন।

মামলায় র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ রানা, র‌্যাব-২ এর ডিএডি শাহেদুর রহমান ও পরিদর্শক ওয়াহিদ এবং র‌্যাব-২ এর সোর্স রতনকে অভিযুক্ত করা হয়।

মামলার আরজি থেকে জানা যায়, ১৭ আগস্ট মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে রাজা মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজু মিয়াকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে পূর্বপরিকল্পনা মাফিক আরজুকে হাজারীবাগ পার্কের মূল ফটক থেকে হত্যার উদ্দেশে অপহরণ করে কোনো অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়। অপহরণের কোনো এক সময় পরিকল্পিতভাবে আরজুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর সিকদার মেডিকেলের পেছনে খোলা জায়গায় ফেলে রাখে তিন র‌্যাব কর্মকর্তা।

মামলার বাদী হাজারীবাগ থানায় গিয়ে বলেন, ‘তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে তার ভাই আরজু মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকদের আমি জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনো বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘১৯ আগস্ট (বুধবার) র‌্যাব-২ এর সিও (অধিনায়ক) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বীকার করেন, আরজু মিয়া বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। এর পর আমি হাজারীবাগ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা মামলাটি গ্রহণ করেনি। থানায় মামলা গ্রহণ না করায় আদালতে মামলাটি করেছি।’



মন্তব্য চালু নেই