রোহিঙ্গা সমস্যা কি এবার আলোর মুখ দেখবে?
মিয়ানমারের বিশেষ দূত ও সে দেশের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিউ টিন তার দুদিনের ঢাকা সফর শেষে আজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন।
এই সফরে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা ও আরও নানা দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলির বিশদ আলোচনা হয়েছে।
বিগত প্রায় পঁচিশ বছর ধরে বাংলাদেশকে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্রোত সামলাতে হচ্ছে, এবং গত কয়েক মাসে সেই সঙ্কট আরও জটিল আকার নিয়েছে।
এই পটভূমিতে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক পথে এই সঙ্কটের সমাধান কি সম্ভব? বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক হুমায়ুন কবীর বিবিসি বাংলাকে বলেছেন
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছে দ্বিপাক্ষিক ভাবে উদ্যোগটা বজায় রাখতে যাতে করে সমস্যাটা সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। “তবে এটাও আমরা সাম্প্রতিককালে দেখছি আসিয়ান, ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভা হওয়ার কথা আছে কুয়ালালামপুরে। তার প্রেক্ষাপটে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসেছেন”
তিনি বলনে এটা মিয়ানমারের ভেতরকার সমস্যা কাজেই সেটা মিয়ানমারকেই নিষ্পত্তি করতে হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের বক্তব্য সু-দৃঢ়ভাবে বলতে হবে।
মি. কবীর বলছিলেন “যদি দ্বিপাক্ষিক ভাবে সমাধান হয়ে যায় সেটাই আমরা খুঁজবো, কারণ মিয়ানমার আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী, রোহিঙ্গা সমস্যা ছাড়াও অন্যান্য বিষয়েও লেনদেন রয়েছে এবং থাকবে। তবে মিয়ানমারের সাথে বিগত দিনের অভিজ্ঞতার কারণে প্রয়োজনে আমাদের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পথ খুঁজে বের করতে হবে”।
এই আলোচনায় কতটা আশাবাদী হওয়া যায়? তিনি বলছিলেন “মোটামুটি আশাবাদী, খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। এর আগেও আলোচনা হয়েছে কিন্তু পুরনো সমস্যার কোন সমাধান হয়নি”।
যদি এটা নিষ্পত্তি না হয় তাহলে কোন দেশের জন্যই মঙ্গলজনক নয় এমনকি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে থেকে যেতে পারে রোহিঙ্গা সমস্যা-মন্তব্য করেন সাবেক এই কূটনীতিক।
মন্তব্য চালু নেই