রোহিঙ্গা নির্যাতন গণহত্যার শামিল : ব্রিটিশ হাইকমিশনার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনা গণহত্যার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং এলাকায় দুটি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন ব্লেক। এ সময় কানাডার হাইকমিশনার বিনো পিয়েরে লারামি ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিব্লেট ছিলেন।
গুরুত্বপূর্ণ তিন দেশের কূটনীতিক সেনাবাহিনীর নির্যাতনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সম্প্রতি পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মুখে থেকে সেখানকার হত্যা-ধর্ষণ, দমন-পীড়নের বর্ণনা শোনেন।
অ্যালিসন ব্লেক বলেন, ‘শিবির পরিদর্শন করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থা জানা গেল। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সে দেশে সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন। এ নির্যাতন গণহত্যার শামিল।’
এ সময় কূটনীতিকেরা বিপুলসংখ্যক নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসাও করেন।
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে তিন হাইকমিশনার কক্সবাজার থেকে সড়কপথে উখিয়া পৌঁছান। এরপর সেখানকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) এবং উন্নয়ন সংস্থা ‘এসিএফ’র স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। বেলা ১১টায় পৌঁছান ১০ কিলোমিটার দূরে উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে। এখানে টানা কয়েক ঘণ্টায় তারা (তিন রাষ্ট্রদূত) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সদ্য পালিয়ে আসা অন্তত ৩০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে, গত ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি উখিয়া ও টেকনাফের চারটি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে কফি আনান কমিশনের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
৩১ জানুয়ারি উখিয়া ও টেকনাফের দুটি শিবির পরিদর্শন করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্নিকাট।



মন্তব্য চালু নেই