রোমান সাম্রাজ্যের সেই সুড়ঙ্গগুলো
দুই হাজার বছর আগে রাজ্যে সুরঙ্গ তৈরি করে থাকতেন রোমান শাসকরা। এই সুড়ঙ্গ গিয়ে মিলিত হতো বাজার কিংবা কোর্টরুমে। সেসময় সুড়ঙ্গগুলোতে সবসময়ই আলো জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো প্রহরীরা। প্রস্থে এগুলো এতটাই বিশাল যে সম্রাটরা চাইলে ঘোড়ায় চড়েও এই গোপন পথ ব্যবহার করতে পারতেন।
তবে বুধবার থেকে রোমান সাম্রাজ্যের বেশকিছু সুড়ঙ্গ দর্শনার্থীদের জন্য প্রথমবারের মতো খুলে দেয়া হয়েছে। জনসাধারণ এখন থেকে দেখতে পারবেন সাম্রাজ্যের ২ হাজার বছর পুরোনো এই শিল্পকে।
৩০০ গজ লম্বা এমন ৭টি সুড়ঙ্গ তৈরি করা হলেও এখন মাত্র চারটি অবশিষ্ট রয়েছে। নবম শতকে বাকিগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে বলে ধারণা ইতিহাসবিদদের।
তবে এটি আবিষ্কার করতে অনেক সময় লেগে যায় প্রত্নতাত্ত্বিকদের। কয়েকবছর আগেই এই সুরঙ্গ আবিষ্কার করেন তারা। সব ঠিকঠাক করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
কালচারাল হেরিটেজ এর প্রধান ফ্র্যান্সিসকো প্রসপারেটি বলেন, ‘শত শত বছর ধরে এটিই ছিলো সাম্রাজ্যের মূল প্রবেশপথ। দর্শনার্থীরা এটি বেয়ে প্রাসাদের উপরে পৌঁছালে পুরো সাম্রাজ্যের একটি চিত্র দেখতে পারবেন।’
প্রত্নতাত্ত্বিক প্যাট্রিজিয়া ফর্টিনি বলেন, ‘ছাদগুলো এগারো মিটার (৩৬ ফিট) উঁচু। আমরা বলতে পারছি না মালগাড়ি নেয়া সম্ভব হতো কিনা। তবে এটা নিশ্চিত যে ঘোড়ার পিঠে চড়ে এই রাস্তায় যাওয়া সম্ভব।
সুরঙ্গগুলোকে এখন ছোটোখাটো জাদুঘরে রূপান্তর করেছে রোমান কর্তৃপক্ষ। সেখানে স্থান পেয়েছে হারকিউলিসের একটি মূর্তি। সন্তান বলি দেয়া মার্বেলের মূর্তি।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
মন্তব্য চালু নেই