রুসেফের ইমপিচমেন্টের পক্ষেই ভোট পড়ল

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফের ইমপিচমেন্ট প্রশ্নে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটাভুটি শেষ হয়েছে। এতে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পড়েছে রুসেফের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত ইমপিচমেন্টের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতারা।
প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৪ সালে পুনর্নির্বাচনের সময় বাজেট আইন ভঙ্গ করে সরকারি হিসাবে কারসাজি করেছিলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোবাসের কোটি টাকার একটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রুসেফ। গত বছরের শেষ নাগাদ বিরোধীরা রুসেফের ইমপিচমেন্টের দাবি তোলে। তবে রুসেফ তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের এই প্রচেষ্টাকে ‘বেসামরিক অভ্যুত্থান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
রোববার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫১৩ জন সদস্য রুসেফের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। পাঁচ ঘণ্টা ভোট গ্রহণ শেষে ৩৪২ জন সদস্য ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। দুই-তৃতীয়াংশ আইনপ্রণেতা প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেওয়ায় এখন এটি উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠাতে আর কোনো বাধাই রইল না।
আগামী মে মাসে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে রুসেফের ইমপিচমেন্টের বিষয়ে ভোট গ্রহণ হবে। প্রস্তাবটি সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন পেলেই কেবল প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ স্থায়ীভাবে পদচ্যুত হবেন। তখন রুসেফের স্থলাভিষিক্ত হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মিশেল টিমার।
রুসেফের দল ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা গুইমারায়েস বলেছেন, ‘অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রকারীরা পার্লামেন্টে জয় পেয়েছে। প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফের সরকার এই সাময়িক পরাজয় মেনে নিয়েছে। তবে তার মানে এই নয় যে লড়াই খতম হয়েছে। লড়াই রাজপথে ও সিনেটে অব্যাহত থাকবে।’
মন্তব্য চালু নেই