রুবেল সম্পর্কে যা বললেন হ্যাপি

নাজনীন আক্তার হ্যাপি। কিছু আশা কিছু ভালোবাসা চলচ্চিত্রের নায়িকা তিনি। কিন্তু তার কিছু আশা এখন ধূলিসাৎ, পেলেন না কিছু ভালোবাসাও। তাই নাম হ্যাপি হলেও তিনি এখন আর হ্যাপি (সুখী) নন। বরং প্রেমের নামে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন হ্যাপি। অভিযোগ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে।

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় হ্যাপির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রুবেলের সঙ্গে আমার নয় মাসের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে কয়েকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে। আর এটা হয়েছে মিরপুর কমার্স কলেজের বিপরীতে তার বাসায়।’

হ্যাপি বলেন, ‘কয়েক দিন আগেও সে ডেকে নিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে। এ সময় আমি তাকে বিয়ের কথা বলি। যা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। বিয়ের কথা বললেই সে নানা অজুহাতে পাশ কাটিয়ে চলে। এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। কিছুদিন পরে করব। ক্যারিয়ারটা আরেকটু এগিয়ে নিই। তুমি পড়াশোনা শেষ করো, তারপর ধুমধাম করে বিয়েটা হবে। এমন সব গল্প বলে দিন পার করত আর আমাকে ভোগ করত।’

‘তিন-চার দিন আগে আমি তাকে বিয়ের কথা বলি। উত্তরে রুবেল বলে, মিডিয়ার মেয়েরা ভালো না। তাদের চরিত্র খুব খারাপ। তাদের সঙ্গে প্রেম করা যায়, কিন্তু বিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সুতরাং আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না।’

‘বিয়ে করবে না তো এত দিন আমার শরীরটা নষ্ট করলে কেন- এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল আমার গায়ে হাত তোলে। সেদিনের পর আর কোনো কথা হয়নি তার সঙ্গে। আমি ভেবেছিলাম, রুবেল আমাকে ফোন করবে। কিন্তু না, কয়েক দিন ধরে কোনো যোগাযোগ নেই তার সঙ্গে। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমাকে মামলা করতে হলো,’ অভিযোগ করেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি।

কে এই নায়িকা হ্যাপি
২০১৩ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের কিছু আশা কিছু ভালোবাসা সিনেমার মাধ্যমে হ্যাপির চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিনি বর্তমানে কাজ করছেন বদরুল আমিনের রিয়েলম্যান, মুশফিকুর রহমান গুলজারের লাল সবুজের সুর, মেজবাহ শিকদারের অন্যরকম, জামশেদুর রহমানের ছন্দপতন চলচ্চিত্রে। এ ছাড়া কয়েকটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। হ্যাপির গ্রামের বাড়ি খুলনায়। পরিবারসহ ঢাকার রূপনগর আবাসিক এলাকায় বাস করছেন এখন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারে পড়ছেন।

এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর মডেল থানায় হাজির হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন হ্যাপি। যার নম্বর ৩৭। মামলার এজাহারে তিনি বলেন, ক্রিকেটার রুবেল হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এখন বিয়ের কথা বললে সে টালবাহানা করে। মামলার বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার এসআই এবং এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ জানান, হ্যাপি নামের ওই নায়িকা মামলা করার পরপরই ওপরমহলের নির্দেশে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে তাকে পরীক্ষা করা হয়েছে। রোববার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে নেওয়া হতে পারে তাকে। সেখানে না হলে অন্য কোনো প্রাইভেট হাসপাতালেও এ রিপোর্ট করানো হতে পারে।

রুবেল হোসেনকে কখন গ্রেফতার করা হবে, জানতে চাইলে এসআই মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘সব দিক থেকেই তদন্তকাজ এগিয়ে যাচ্ছে। রুবেল হোসেনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে। তদন্তের আগে আর কিছু বলা সম্ভব নয়।’

যাকে নিয়ে এত আলোচনা সেই রুবেল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার পরপর তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

স্বপ্নপূরণের পথে নবাগত হ্যাপি :



মন্তব্য চালু নেই