প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা
রাস্তায় অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ে চরম ভোগান্তি
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুপুর থেকেই এ সমাবেশ ঘিরে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন নগরবাসী।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস-ট্রাক নিয়মবহির্ভূতভাবে গণপরিবহন চলাচলকারী প্রধান সড়কে পার্কিং করে রাখা হয়। পর পর চারটি গাড়ি রাখায় সড়কের এক লেন দিয়ে মাত্র একটি গাড়ি চলাচল করতে সক্ষম হয়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
নগরীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী মানুষকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে বেগ পেতে হয়। একই স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে যাত্রী বহনকারী গণপরিবহন ও প্রাইভেটকারগুলো।
বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীদের শোডাউন ও বিক্ষিপ্ত মিছিলও যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।
সরেজমিন শুক্রবার বিকেলে দেখা গেছে— রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে রূপসী বাংলা হোটেল মোড়, শাহবাগ-বাটা সিগন্যাল, শাহবাগ-টিএসসি মোড়, মৎস্য ভবন-শাহবাগ মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়কে সারি সারি রাখা হয়েছে সমাবেশে আসা বিভিন্ন যানবাহন। মাত্র একটি গাড়ি চলাচলের জায়গা রেখে পুরো রাস্তা দখল করে রাখা হয়েছে। গাড়ির স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্ন ঘটায় মহানগরজুড়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়।
যানজটের কারণে রমনা পার্কের মূল প্রবেশমুখের সামনে ছায়াময় স্থানে দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তেজগাঁও থেকে আসা মো. আবদুল হালিম। তার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। আব্দুল হালিম বলেন, ‘ভেবেছিলাম শুক্রবার বলে রাস্তা ফাঁকা থাকবে। কিন্তু পার্ক এলাকায় এসে আটকে গেলাম। প্রায় ঘণ্টাখানেক একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, বাস চলছে না।’
শাহবাগ ফার্মেসি মার্কেটের বিপরীতে এফটিসিএল পরিবহনের একটি বাসের জানালার ফাঁক দিয়ে মুখ বের করে দূরের পথে দৃষ্টি রাখছিলেন এক গৃহিণী। সঙ্গে তার তিন বছরের মেয়ে।
যানজট পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে বাচ্চা অস্থির হয়ে পড়েছে। রাস্তায় গাড়ি রাখায় যতসব ভোগান্তি। এ সব কে দেখবে?’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় জরুরি ওষুধ না পেয়ে শাহবাগে ওষুধ কিনতে এসেছেন মো. রমজান। রিকশাযোগে এলেও টিএসসিতে এসে তা আটকে যায়। এরপর বাধ্য হয়ে হাঁটা শুরু করেন শাহবাগের দিকে।
তিনি বলেন, ‘ভাই তাড়াতাড়ি ওষুধ কিনতে হবে। কিন্তু জ্যাম থাকায় হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি। ফেরার পথেও হেঁটে যেতে হবে, বুঝতে পারছি। এভাবে মানুষকে ভোগান্তি দেওয়ার কোনো মানে হয়!’
ট্রাফিক কন্টোলরুমের পরিদর্শক মো. মালেক বলেন, ‘ওই সব এলাকা তো লোকারণ্য। গাড়িতে লোকজন এসেছে, নিয়ম কয়জন মানে বলুন? এরপরও চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে জনভোগান্তি না হয়। ঘটনাস্থলে আমাদের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন।’ দ্য রিপোর্ট
মন্তব্য চালু নেই