রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে কাজ করতে চান ট্রাম্প
সহযোগিতার মনোভাব দেখালে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন নিউ ইয়র্কের আবাসন ব্যবসায়ী ট্রাম্প।
শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার উপর নতুন করে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা ‘অন্তত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য’ বহাল থাকবে। কিন্তু তারপর সেটা ‘তুলে নেওয়া হতে পারে’।
তিনি বলেন, রাশিয়ার উপর কিছুদিন আগে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অন্তত কিছু সময়ের জন্য বহাল থাকবে। পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করা হতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামিক জঙ্গি’ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়া সহযোগিতা করলে তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে পারে। ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলেও জানান।
চীন প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘এক চীন’ নীতি মানবে কিনা তা চীনের সঙ্গে আলোচনার সফলতার উপর নির্ভর করবে। এর আগেও তিনি ‘এক চীন নীতি’ যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, চীন আমাদের অধিকতর সুবিধা না দিলে এক চীন নীতি থেকে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্র।
নির্বাচনে জয়লাভ করার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি চীনকে মুদ্রার অবমূল্যায়নকারী দেশ বলে ঘোষণা করবেন। তবে শুক্রবারের সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়ে বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই তিনি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবেন না।
আমি প্রথমে তাদের সঙ্গে কথা বলবো। নিশ্চিতভাবেই তারা অবমূল্যায়নকারী। তবে এখনই আমি সেটা করতে যাচ্ছি না। যদিও এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলেও চীনের মুদ্রানীতি নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করতে ছাড়েননি ট্রাম্প।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন করছি’ এটা বলার পরিবর্তে তারা বলেছে, ‘ওহ, আমাদের মুদ্রার দাম পড়ে যাচ্ছে’। তাদের মুদ্রার দাম পড়ছে না। তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটা করছে। আমাদের কোম্পানিগুলো এখন তাদের কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না কারণ আমাদের মুদ্রা শক্তিশালী এবং এটা আমাদের হত্যা করছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চীন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হতে হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই