রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
ইউক্রেন সংকট ঘণীভূত করার অভিযোগে রাশিয়াকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ইউক্রেনের সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে গত সপ্তাহে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে স্বাক্ষরিত অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে মস্কো। এর জন্য ক্রেমলিনকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর দেবালৎসেভে সরকারি সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। শহরটির বেশিরভাগ এলাকা নিজেদের দখলে বলে দাবি বিদ্রোহীদের। এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন।
পুতিনের ওই আহ্বানের পর মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে টেলিফোনে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাক্ষাতের পর বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, চুক্তি লঙ্ঘন করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তায় অব্যাহত রাখায় কঠোর নিন্দা জানায়।
হোয়াইট হাউসের দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, মিনস্কে স্বাক্ষরিত অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন অব্যাহত রাখলে রাশিয়াকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।
এদিকে, মিনস্কে স্বাক্ষরিত অস্ত্রবিরতি চুক্তির ওপর রাশিয়ার তোলা একটি প্রস্তাব মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্ব সম্মতভাবে পাস হয়েছে। তবে ওই প্রস্তাব নিয়ে পরিষদে রাশিয়ার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে তুমুল বাগযুদ্ধ হয়।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সামন্থা পাওয়ার বলেন, চুক্তিটি কার্যকর হোক এটি আমরা মনপ্রাণে চাই। কিন্তু রাশিয়াকে ওই চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতির প্রমাণ দিতে হবে।
তিনি ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নবাদীদের অস্ত্র, ভারী সামরিক সরঞ্জাম ও নিজেদের সেনা দিয়ে সহায়তা বন্ধ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান সামান্থা।
তবে প্রথম থেকেই বিদ্রোহীদের সহায়তার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন। সামান্থার বক্তব্যকে আক্রমণাত্মক বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন্স। প্রথম থেকেই ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ সংকট কার্যকর আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে আসছে রাশিয়া।
মন্তব্য চালু নেই