রাজধানীতে ১০ গাড়িতে আগুন

বিএনপির নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধে শনিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে আগুন দিয়েছে কে বা কারা। রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নগরীতে ১০টি গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। তবে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

অবরোধ-হরতালের সমর্থনে নগরীর বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি-ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। নাশকতার অভিযোগ রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের চারকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। খিলক্ষেতের কুর্মিটোলা স্কুলের প্রধান ফটক থেকে সাতটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুর, পল্টন ও রূপনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দুইজন বিএনপির ও দুইজন জামায়াতের কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৭টার দিকে মৌচাকে তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কে বা কারা।

প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকর্মী আমানউল্লাহ জানান, মৌচাকে দেশ টেলিভিশনের কার্যালয়ের সামনে পৌনে ৭টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি গাড়ি ও দুটি প্রাইভেট কারে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় একটি ৬ নম্বর বাসে আগুন দেয়ারও চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে একটি প্রাইভেটকারে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যাত্রাবাড়িতে মিতালী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও দুইটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেয়া হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরে রিপোর্ট পৌছায়নি।

একই সময়ে কমলাপুরে বাহন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস লক্ষ্য করে পরপর সাতটি ককটেল নিক্ষেপ করেছে কো বা কারা। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

একই সময়ে মিরপুর ১৩ নম্বর সেনপাড়া পর্বতায় গার্ডেন নামে একটি যাত্রীবাহী পরিবহনে আগুন দেয়া হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডিতে সানিডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।

রাত ৭টা ১৫ মিনিটে বনানী পোস্ট অফিসের সামনে মিরপুরগামী বিহঙ্গ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে কে বা কারা। ঠিক একই সময়ে মিস্টার বেকারের সামনে দুটি হিউম্যান হলারে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে যাত্রীরা ভয়ে হিউম্যান হলার থেকে নেমে যায়। এরপরপরই পেট্রলবোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই