রাতের অন্ধকারে ঢাকার পার্কে দেহ ব্যবসা! (ভিডিও)

শহরের জীবন মানেই দিনরাত ২৪ ঘন্টা ব্যস্ততা। প্রতিটি মানুষই নিজ নিজ কাজে নিদ্দিষ্ট সময়ে ব্যস্ত থাকেন। কেউ দিনে, আবার কেউ রাতে। রাজধানী ঢাকায়ও দিনে ও রাতে জীবিকা নির্বাহের কাজে ব্যস্ত সময় কাটান সবাই।

রাজধানীর যেসব স্থানে দিনে হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা, সন্ধ্যা নামলেই সেইসব এলাকা ও অলিগলি হয়ে উঠে ভয়ংকর। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে সেইসব এলাকা হয়ে ওঠে আরও ভয়ংকর।

ছিনতাইকারী, নেশাকারী ও পুলিশ বাহিনীসহ অনেকেই রাতের ঢাকায় জেগে থাকেন। এদের পাশাপশি আরও একটি অসহায় নারী গোষ্ঠি অন্ধকার গলি, ফুট ওভারব্রিজ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং রমনা পার্কে ভেতরে সামান্য টাকায় বিক্রি করেন তাদের দেহ।

মাত্র ১০০-২০০ টাকার বিনিময় এসব অসহায় নারীদের দেহ ভোগ করেন রিশকা ও সিএনজি চালকসহ দেশের অনেক বড় মানুষরা। এদের সঙ্গে অনেক সময় দেখা যায় মাঝ বয়সী পুরুষসহ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের।

এক নারী যৌনকর্মী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, এছাড়া আর কি করবো। এরআগে এক বাসায় কাজ করতাম। ওই বাসার মালিক প্রতিদিন…।এরপর কাজ ছেড়ে দিয়ে এখানে এসেছি। এটা না করলে খাব কি? ছেলে সন্তান নিয়ে চলতে হবে তো।

এছাড়াও রাজধানীতে ছিনতাইকারীরাও জাল বিছিয়ে রয়েছেন। ভোর, সকাল, দুপুর ও রাতে ভাগ ভাগ হয়ে ছিনতাই করেন ছিনতাইকারীরা। অপরাধীদের মাঝে রাতের ঢাকায় কর্মঠ মানুষও পাওয়া যায়। যারা রাতে কাজের আশায় কারওয়ান বাজারের রাস্তার পাশে ঝুড়িতেই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

বেসরকারি একটি সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীতে প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও ৩০ হাজার মানুষ প্রতিদিন রাস্তায় ঘুমায়। আর ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে মাত্র ২২ হাজার ৩২৭জন পুলিশ সদস্য।

এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (ডিবি) মশিউর রহমান বলেন, রাজধানীর অপরাধ রোধে পুশিল যথেষ্ঠ সচেতন রয়েছে এবং সজাগ রয়েছে। অপরাধ দমনে পুলিম বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

রাতের ঢাকার মানুষের জীবন, অপরাধ এবং দেহব্যবসাসহ সবকিছু নিজের চোখে দেখতে

https://youtu.be/BtmEwmPgeJw



মন্তব্য চালু নেই