রাজধানীতে ২ শিশু ধর্ষিত
রাজধানীর রামপুরা ও গোড়ানে ২ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুটি শিশুই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রামপুরায় ধর্ষিত শিশুটির মা শিশুটির মা তানিয়া বেগম বলেন, ‘গত পরশু (বুধবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটিকে ঘরে রেখে আমি রান্নাঘরে কাজ করছিলাম। হঠাৎ শিশুটি চিৎকার দিয়ে ওঠে। এসময় আমি ঘরে গেলে কাঁদতে কাঁদতে পাশের পাশের বাসার ভাড়াটিয়া রবিউলের(১৮) নাম বলে।’
শিশুটির অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিষয়টি জানাজানি হলে বাড়িওয়ালী ঘটনাটি ধামাচাপার জন্য তাদেরকে থানায় যেতে দেয়নি, এমনকি হাসপাতালেও যেতে দেয়নি। বাড়িওয়ালী বলেছেন যা হওয়ার হয়েছে, আমি মীমাংসা করে দেবো। এর এক পর্যায়ে ধর্ষক রবিউল বাসা থেকে পালিয়ে যায়।’
পরে আত্মীয়স্বজনেরা এলে শুক্রবার বেলা ২টার দিকে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিশুটির বাবার নাম জাকির হোসেন। রামপুরার বাগিচার টেক এলাকায় তার বাসা।
এ ব্যাপারে রামপুরা থানার এসআই আমিনুল বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি জানি না। তবে ঢাকা মেডিকেলে আমরা লোক পাঠাচ্ছি।’
অপরদিকে রাজধানীর গোড়ান এলাকায় সাড়ে ৪ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম নামে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। ধর্ষণের শিকার শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
ধর্ষণের খবরটি জানাজানি হয়ে গেলে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে আমিরুলকে প্রথমে গোড়ানের একটি গ্যারেজে আটকে রাখেন স্থানীয়রা। পরে ওই শিশুর বাবা ইমরান ইসলাম পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আমিরুলকে খিলগাঁও থানায় নিয়ে যায়। খিলগাঁও থানার (শিক্ষানবীশ উপ-পরিদর্শক) টিএসআই ফিরোজ আহম্মেদ এসব জানান।
ইমরান হোসেন বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমিনুল ইসলাম আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে জানাজানি হলে এলাকাবাসী তাকে গলি থেকে ধরে নিয়ে একটি গ্যারেজে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে গেছে।’
মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
খিলগাঁও থানার এএসআই ফিরোজ আহম্মেদ জানান, শুক্রবার সকালে ইমরান হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে আমিনুল ইসলামকে থানায় ধরে আনা হয়। তবে এখনো তার নামে কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
মন্তব্য চালু নেই