রাখাইন ঘুরে গিয়ে উল্টো ব্যাখা দিলেন কফি আনান!

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চলমান সেনাবাহিনীর নির্বিচার হত্যা ও নির্যাতনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। তিনি রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে চালানো সহিংসতাকে ‘গণহত্যা’ বলতে চাননি।

রোহিঙ্গা নির্যাতিত মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ ঘুরে এসে মঙ্গলবার বিবিসিকে কফি আনান বলেন, ‘আমার মনে হয়, সেখানে উত্তেজনা আছে, যুদ্ধ চলছে। কিন্তু, আমার মনে হয় না তাদের জন্য কিছু করা সম্ভব হয়েছে।’

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে প্রাণ বাচাতে গত দুই মাসে ২১ হাজার ৯০০ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে গেছে। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ সভায় অংশ নিয়ে রোববার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বলেছেন, রাখাইনে ‘গণহত্যা’ চলছে।

এমন প্রেক্ষাপটে গত ২৩ আগস্ট কফি আনানের নেতৃত্বাধীন ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিশন গঠন করেন মিয়ানমারের নেতা অং সান সুচি। ২ ডিসেম্বর রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সফরে যান কফি আনান।

পর্যবেক্ষণ থেকে ফিরে কফি আনান বলেন, ‘আপনাকে ভীত-সন্ত্রস্ত দু’টি সম্প্রদায়ের (বৌদ্ধ ও মুসলিম) কথায় ভাবতে হবে। তারা পরস্পরকে ভয় পাচ্ছে, অবিশ্বাস করছে। দিনকে দিন এই ভয় বাড়ছেই। কিন্তু এ থেকে উত্তরণে আমাদের একটা পথ খুঁজে বের করতেই হবে। দু’টি সম্প্রদায়ের মানুষকে এক করতে সাহস যোগাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাখাইনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী কমিটির সদ্যসরা ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহারে খুব এবং খুবই সতর্ক।’

দীর্ঘদিন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের গৃহবন্দির শিকার দেশটির নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সুচি রোহিঙ্গা নির্যাতন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কিন্তু কফি আনান এ ক্ষেত্রে সুচির পক্ষই নিলেন, তিনি মনে করেন, ‘গতবছরের নভেম্বরে ঐতিহাসিক নির্বাচনে সুচির দল দেশটিতে বিজয় লাভ করেছে। তাদের যথেষ্ট সময় দেয়া এবং পদক্ষেপের বিষয়ে আরও ধৈর্য ধরা উচিত।’



মন্তব্য চালু নেই