রহস্যজনকভাবে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, সাত মাসের শিশুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

সিআইএসএফ মৃতের পরিবারকে জানিয়েছে যে, মেয়েকে খুন করার পর আত্মঘাতী হন সঞ্জীব এবং তাঁর স্ত্রী। যদিও মৃত জওয়ানের আত্মীয়দের অভিযোগ, সঞ্জীব কাজ নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

বারুইপুরের সোনাগাছির বাসিন্দা সঞ্জীব ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুরে কর্মরত ছিলেন। গত শুক্রবার সেখানেই তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার রাতে বারুইপুরের সোনাগাছিতে তিনজনের দেহ এসে পৌঁছয়। দুপুর থেকে সঞ্জীবের বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকেন আত্মীয় পরিজনেরা। তাঁর এক আত্মীয় অমল মণ্ডল বলেন, ‘‘ভাবতেই পারছি না ওর (সঞ্জীব) মতো ছেলে এমন কাণ্ড করতে পারে।’’

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নাইট ডিউটি ছিল সঞ্জীবের। শুক্রবার সকালে ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তারপর থেকে খোঁজ পাওয়া যায়নি সঞ্জীবের। সিআইএসএফ সূত্রের খবর, বিলাসপুরের কুশমুণ্ডায় যে আবাসনে সঞ্জীব তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে থাকতেন সেখানে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর খোঁজে যান এক জওয়ান। তিনি প্রথম তিনজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি খবর দেন আধিকারিকদের। পরে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

এদিন স়ঞ্জীবের এক আত্মীয় কৌশিক রায় বলেন, ‘‘কাজ নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সঞ্জীব। বারবার কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতেন। তাঁর সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করতেন।’’ যে আধিকারিকেরা এদিন স়ঞ্জীবের দেহ নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে, বিলাসপুরে সঞ্জীবের বাহিনীর দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর ছয়েক আগে চাকরিতে যোগ দেন স়ঞ্জীব। তিন বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় বাঘাযতীনের বাসিন্দা রিঙ্কু মণ্ডলের সঙ্গে। পরিবারের দাবি, স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে কোনও মনোমালিন্য ছিল না। তবে সম্প্রতি বারবার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতেন স়ঞ্জীব। সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপের কাছে কোণঠাসা হওয়ার কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। সঞ্জীবের ছোটভাই সোমনাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘কখনওই কাউকে সমস্যার কথা পুরোপুরি বলেনি দাদা। দু’মাস আগে দাদা একবার বাড়ি এসেছিল।’’



মন্তব্য চালু নেই