রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়েছে
রাজধানীর রাজপথে ঠান্ডা পানির শরবত, আখের রস, সেক্স, ডায়াবেটিকস বা গ্যাস্ট্রিক ‘নিরাময়’ হালুয়া খাওয়ার অভ্যাস অনেকের। কিন্তু এসব খেয়ে সর্বস্ব হারনো রেকর্ডও কম নয়। সব হারানোর পর বুঝতে পারেন অজ্ঞান বা মলম পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন।
এদিকে, রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীতে অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়েছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. সোহেল (৩২), ইসমাঈল হোসেনন চৌধুরী (৩৫), মো. মাকিল রানা (৩২), মো. ওমর ফারুক (৩২), আব্দুল খালেক (৭০), মো. নান্নু শেখ (২৭), মো. বাদশা (৩০), মো. বিল্লাল হোসেন (২৮), মো. নজরুল ইসলাম (৩০) এবং মো. মাহবুব শেখ (২৮)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন বলেন, রাজধানীতে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তিন পদ্ধতিতে যাত্রীদের অজ্ঞান করার কৌশল নেয় তারা।
তিন পদ্ধতি হলো- বাসের যাত্রী সেজে অথবা বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে মানুষকে আকৃষ্ট করে অজ্ঞান করার ঔষধ মিশ্রিত খাবার খাওয়ানো, রাস্তায় খাবারের পসরা বসিয়ে (আখের রস, ডাব, হালুয়া ইত্যাদি) এবং সিএনজিতে যাত্রী বেসে অন্য যাত্রীকে উঠানো কিংবা পান ও জুস খাইয়ে সবর্স্ব হাতিয়ে নেয় তারা।
ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-কমিশনার (ডিসি পূর্ব) মো. মাহবুব আলম বলেন, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির সদস্যরা এমনভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে কথা বলে যে অধিকাংশরাই চিনতে না পেরে তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেয়। তাদের দেয়া খাবার খায়, জুস কিংবা ডাবের পানি খায়, কেউবা আবার ইসুপগুলের শরবত খায়। এসব খেয়ে অজ্ঞান হয় এবং হারিয়ে ফেলেন সর্বস্ব।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ম্যাসিস্ট্রেট মশিউর রহমান জানান, মে জুন মাসে শতাধিক অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্যকে গ্র্রেফতার করা হয়েছে। রজমান ও ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির দৌরাত্ম বন্ধে বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করা হচ্ছে। পুরো রজমান মাস জুড়ে অজ্ঞান ও মলম পার্টির বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য চালু নেই