রমজানের শুরুতেই বাজারে আগুন

এক সপ্তাহ আগেও ঠান্ডা ছিল। কিন্তু রমজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবারের মত এবারও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের জন্য গায়ে আগুন লাগার মত হয়েছে।

রাজধানীর একাধিক কাঁচাবাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের রমজানে কয়েকটি পণ্যের চাহিদা বেশি হওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। বাড়তি চাহিদার যোগান দিতে গিয়ে পাইকারি বাজার এক রকম খালি প্রায়।

রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা ও মহাখালির কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বেগুনের দাম। কারণ রমজানের ইফতারিতে বেগুনের কদর অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। রমজানের আগে কাঁচাবাজারগুলোতে লম্বা লম্বা যে বেগুন বিক্রি হতো ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, রোজার প্রথম শুক্রবারে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

শুধু বেগুনই নয়, ইফতার সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার হয় এমন সব সবজির দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এতে সমস্যায় পড়ছে স্বল্প আয়ের মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও এ বিষয়ে দায়িত্ত্বশীলরা রয়েছেন দেখে না দেখার ভান করে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম সামান্য বেড়েছে। তবে কৃত্রিম সঙ্কট নয়, আমদানি ঘাটতি থাকায় সামান্য বেড়েছে পণ্যের দাম।

রাজধানীর বনানী, বাড্ডা ও মহাখালির কয়েকটি কাঁচাবাজারে দেখা গেছে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি কেজি পেপে ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়, শশা ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায়, গাজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

রমজান উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪২০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও কিছু কিছু বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কোনো কোনো বিক্রেতাকে ৪৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি মসুর ডাল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া অ্যাংকর (বুটের) ডাল ৬০-৬২ টাকায়, খেসারির ডাল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, বুটের ডালের বেসন ১২০ টাকা, অ্যাংকর ডালের বেসন ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। টিসিবি মশুর ডাল ৮৯ টাকা ৯৫ পয়সায় বিক্রি করছে।

প্রতি কেজি দেশি পেয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকায় এবং দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া খুচরা বাজারে চিনি, ডাল, পেয়াজ, রসুনের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই